পশ্চিমা বিমান ট্রাফিক সিস্টেম ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করছে রাশিয়ার একটি ভয়ঙ্কর হ্যাকিং ইউনিট। এটি এলিট জিআরইউ ইউনিট ২৬১৬৫ হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও ‘ফ্যান্সি বিয়ার’, ‘ফরেস্ট ব্লিজার্ড’ এবং ‘ব্লুডেল্টা’ নামেও পরিচিত এই ইউনিট। এটি রাশিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত হ্যাকিং স্কোয়াডগুলোর অন্যতম।
যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা বিমান ট্রাফিক সিস্টেম ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করছে রুশ ওই হ্যাকিং ইউনিট।
রুশ গোয়েন্দা জিআরইউ (জেনারেল স্টাফ অব দ্য আর্মড ফোর্সেস অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন) কর্তৃক পরিচালিত এই হ্যাকিং ইউনিটটি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে ২০২২ সালের শুরু থেকেই পরিচালনা করে আসছে ক্রেমলিন। এটি মূলত ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি ও লজিস্টিক সংস্থা, বিমানবন্দর, বিমান ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ও ক্যামেরা প্রভৃতিকে লক্ষ্যবস্তু করছে এই হ্যাকিং ইউনিট।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কেন্দ্রের পল চিচেস্টার বলেছেন, “রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের এই অভিযানে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া সংস্থাগুলোকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। এর মধ্যে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও রয়েছে।
অন্যান্য ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য।
বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তাদের সিস্টেম সুরক্ষিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে সংস্থাগুলোকে তাদের নেটওয়ার্ক সুরক্ষার পরামর্শ দিচ্ছি “
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস রুশ হ্যাকিং ইউনিটের এ ধরনের হস্তক্ষেপের কথা জানিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ ওই হ্যাকিং ই্উনিট ইতোমধ্যে ১০ হাজার ক্যামেরাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। বিশেষ করে ইউক্রেনীয় সীমান্তে ইন্টারনেট-সংযুক্ত ক্যামেরাগুলোকে।
এছাড়াও যুক্তরাজ্য ও তার মিত্র কর্তৃক ইউক্রেনে যাওয়া সাহায্যের চালান, সামরিক স্থাপনা ও রেল স্টেশনের কাছে স্থাপিত প্রায় ১০,০০০ ক্যামেরা ও বিভিন্ন উপকরণের চলাচল ট্র্যাক করেছে রুশ ওই হ্যাকিং ইউনিট। সূত্র: মেট্রো ইউকে
বিডি প্রতিদিন/একেএ