বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করা শিক্ষার্থীর পাশে শুয়ে রাত কাটিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে মশারি টানিয়ে শুয়ে পড়েন। এর আগে রাত ১২ টার দিকে উপাচার্য একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানিয়েছিলেন তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রকাশ পাবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেয়। এরপরই উপাচার্য শিক্ষার্থীদের পাশে মশারি টানিয়ে রাত কাটিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন এর নিচে আমরণ অনশন শুরু করেন- ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিলা জামান সেঁজুতি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২-২৩ সেশনের অমিয় মন্ডল, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের তাজুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের আবু বকর সিদ্দিক, দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের পিয়াল হাসান, লোকপ্রশাসন ২০২১-২২ তামিম আহমেদ রিয়াজ, আইন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শওকত ওসমান স্বাক্ষর।
অনশনরত একাউন্ট এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী তাইজুল ইসলাম তাজ বলেন, দাবি নিয়ে দুইবার সংবাদ সম্মেলন করেছি। এমনকি প্রতীকী ভাবে নভোথিয়েটার ও বিটাক দখল করার পরও আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি। আমাদের সাথে যদি কেউ যোগাযোগ করে কোন প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত অমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে যাব।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। জমি অধিগ্রহণের নানা ধাপ এগোচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আস্থার সংকটের কারণে অনশন পর্যন্ত পৌঁছেছে শিক্ষার্থীরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন