প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। এ দাবিতে গতকাল অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রশাসনের জবাবদিহির দাবিতে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি ও মশাল মিছিলও হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার, আহতদের চিকিৎসা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হওয়া মিছিল প্রক্টর অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি করেন। এ ছাড়া সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে মশাল মিছিল করে চবি ছাত্রদল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে চবিতে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি চালু হবে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আহত মামুনের খুলি ফ্রিজে : সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়ার মাথার অস্ত্রোপচারে অপসারিত ১৩ টুকরো হাড় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। ইসলামের স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম গুরুতর অবস্থায় ঢাকার এনআইসিভিডিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আটজনের জামিন নামঞ্জুর : সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালতে এ আদেশ দেন। এর আগে এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনি। গ্রেপ্তার আসামিরা সবাই হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম এজাহারে থাকলেও বাকিরা তদন্তে আসামি হিসেবে চিহ্নিত হন।