সম্পূরক বৃত্তি, জকসু নীতিমালা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
একই সাথে দাবি পূরণ হওয়া না হলে আগামী সপ্তাহে লাগাতার ২৪ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত ছাত্র নেতারা।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালনকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘণ্টা’, ‘ভিসি স্যার জানেন না নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’ ভিসিস্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বইসা গেছি’,‘হচ্ছে হবে বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’,‘করছি করছি বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’,‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’,‘বৃত্তি আমার অধিকার, মুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘বিপ্লবে বলিয়ান, নির্ভীক জবিয়ান’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহসন গত এক বছর ধরে চলছেই। যমুনা আন্দোলনের পরেও আমাদের সম্পূরক বৃত্তি এখনো প্রদান শুরু হয়নি। সারাদেশে যখন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বাজছে সেখানে আমাদের জকসুর আইন এখনো অনুমোদন হয়নি। আমাদের ন্যায্য অধিকার যদি প্রশাসন না দেয় তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই-‘দড়ি ধরে মারব টান, প্রশাসন হবে খানখান।’
আপ বাংলাদেশের জবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাই কবে থেকে আমাদের সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু আইন পাস করা হবে। নতুবা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। ২০০৫ সালে বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেন। ফ্যাসিবাদের আমলে শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয় এইজন্য প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রকম উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে নাই। জকসু হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মাধ্যম। তাই অতি দ্রুত দুই দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক।
শাখা ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো আজকেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের প্রশাসন এখনো ইতিবাচক সাড়া দেননি। তাদেরকে বলতে চাই আপনারা যদি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ না নেন তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত