রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপি’র দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়কে ক্লাস করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ-পাবনা মহাসড়কের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে শিক্ষার্থী বসে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস করেন। ক্লাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাবেগর শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। রাস্তাব বন্ধ করে ক্লাস করায় মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রী ও চালকরা দুর্ভোগে পড়েন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৮ সালে ভাড়া ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। আবাসন, ক্লাস, হলরুম, খেলার মাঠ, পাঠাগার সংকটসহ ছাত্রীদের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। সংকট সমাধানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ৯ বছরে ৮ আটবার ডিপিপি জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু একবারও একনেকে আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গতবছর সরকার ডিপিপি সংশোধনপুর্বক জমা দেয়ার নির্দেশনা দিলে ৫১৯ কোটি টাকার ডিপিপি অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হয়। এরপর একাধিক একনেক সভা অনুষ্ঠিত হলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পটি এজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি। কেন বা কী কারণে এমনটি হচ্ছে, তার কোনো ব্যাখ্যাও সরকার জানায়নি। এটি কেবল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি উপেক্ষা নয়, এটি বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্রসমাজের স্বার্থের প্রতি অবজ্ঞা বলে মনে করছেন তারা। তাদের অভিযোগ করে বলেন, একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন অন্যদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এক টাকা বরাদ্দ না দেয়া দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চরম বৈষম্যের ইঙ্গিত।
তারা জানান, ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে আবারো ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছেন। ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বয়কট ও কালো ব্যাজধারন করে আন্দোলন শুরু করেন। গত দুদিন যাবত সবাই রাস্তায় নেমে ক্লাস করছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এবার ডিপিপি অনুমোদন ও পুর্ন বাস্তবায়ন না হলে কেউ রাজপথ থেকে সরে যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল