নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারে দুই দিনব্যাপী শিক্ষা সফরে অংশ নিয়েছেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সফরে ৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা জানান, এটি শুধু একটি ভ্রমণ নয়, বরং একসাথে থাকার শিক্ষা, সহযোগিতা আর অমূল্য স্মৃতির এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা শেষে এ শিক্ষা সফর বাস্তবায়িত হয়। সফরের শুরুতে ট্রেনের টিকিট ও যাতায়াতের নানা বিষয় সমাধান করেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী মইন ও শাকিল। তারা সফরের জন্য ট্রেনের একটি পূর্ণ বগি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
৩১ আগস্ট রাতে শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ট্রেনের ভেতরে গান, নাচ, আড্ডা আর হাসিখুশিতে পুরো বগি হয়ে ওঠে এক পরিবারের মতো। পরদিন সকালে কক্সবাজার পৌঁছে আগেভাগে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও যাতায়াতের বাসসহ সব ব্যবস্থা করে রাখেন।
প্রথম দিন সুগন্ধা বিচে সমুদ্রে গোসল, ফুটবল খেলা, ছবি তোলা ও বালুতে খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সময় কাটান। দুপুরের খাবারের পর কেউ বিশ্রাম নেন, কেউ বাজারে যান এবং কয়েকজন সূর্যাস্ত দেখতে যান প্যারাসেলিং পয়েন্টে। রাতে ছিল বারবিকিউ ও সামুদ্রিক খাবারের আসর।

দ্বিতীয় দিন সকালে নাস্তা শেষে শিক্ষার্থীরা মেরিন ড্রাইভে ভ্রমণ করেন। পাহাড় আর সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি খোলা ছাদে ‘চাঁদের গাড়িতে’ ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করেন তারা। দুপুরের পর কেউ কেনাকাটায়, কেউ সমুদ্রের সাথে শেষবারের মতো সময় কাটান। সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা ট্রেনে করে ঢাকায় ফেরেন।
পুরো সফর জুড়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন বিভাগের প্রধান জি.এম. ফয়সাল। শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি নজর রেখে তিনি সফরটি নির্বিঘ্ন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এই শিক্ষা সফর তাদের শুধু আনন্দই দেয়নি, বরং শিখিয়েছে দলগত সহযোগিতা আর একসাথে থাকার শিক্ষা।