‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার সচিবালয়ে কর্মরতদের ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, সচিবালয় হচ্ছে-একটি রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র। রাষ্ট্রের চরম ও চূড়ান্ত মুহূর্তেও সচিবালয় সচল রাখতে হয়। কিন্তু সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নিয়ে আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশেষ বাহিনী সোয়াত ও বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সচিবালয়ের প্রধান গেটের সামনে অতিরিক্ত বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।
সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সরকারের সাবেক সচিব ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারকে পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি সকালে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে যাওয়া সাংবাদিকদেরও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। কারও প্রয়োজন থাকলে তিনি সচিবালয়ে যাবেন, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সচিবালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র দেখতে পাবো। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেক্ষেত্রে কতটুকু সফল হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা সব মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি-আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করুন। তা না হলে আন্দোলন অব্যাহত ও সচিবালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হলে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই