এতিমখানার ছাদের যেদিকে চোখ যায় শুধু ফলের গাছ আর গাছ। দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান তো নয়, যেন প্রকৃতির এক টুকরো ভালোবাসা। ছাদবাগানে দেশি-বিদেশি দুই শতাধিক প্রজাতির ফলের সমারোহ। ছাদ যেন রূপ নিয়েছে ফলের মেলায়! দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও পরিবারের চাহিদা মতো নিরাপদ ফল-সবজি। আবার অবসরে বিনোদনের প্রশান্তি এনে দেবে এ বাগান। এ অভিপ্রায়ে ছাদে দৃষ্টিনন্দন ২০০ প্রজাতির ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ীর সুখসাগর-ভুইপাড়া এলাকায় গড়া আফছার-মহছেনা হাফিজিয়া এতিমখানার সভাপতি ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হক মঞ্জু। বর্তমানে তিনি জেলার খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। শখের বসে প্রকৃতিকে ভালোবেসে গড়েছেন এই ছাদ ফলের বাগান। প্রত্যেকটি গাছ সংগ্রহে রয়েছে ত্যাগ, কষ্ট আর শ্রম। এতিমখানার ছাদে এত ফলের গাছ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অভিভাবকরাও বলেন, এ যেন প্রকৃতির ছাদ বাগান!
বাগানে কী নেই? ছাদের টবে শোভা পাচ্ছে আমেরিকান পালবার আম, ব্যানানা ম্যাংগো, মিরাক্কেল ফল, লটকন, নাশপাতি, করোসোল, কেনু, সুইট লেমন, অরবরই, ফিলিপাইন চেরি, বারোডাস চেরি, আনারস, লং মালবেরি, থাই আমড়া, আন্না আপেল, পিনাট বাটার, মালবেরি, ব্লক বেরি, ব্লুবেরি, কামরাঙা, লোকট, সোলাপরি আনার, ভাগোয়া আনার, বেদানা, করমচা, আলু বোখারা, জামরুল, গোলাপ জাম, কালো জাম, এগফ্রুট, ক্যাটস আই ফ্রুট, অস্ট্রেলিয়ান বিচচেরি, থাই পেয়ারা, থাই মাধুরী পেয়ারা, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রোবেরি পেয়ারা, কালা আঙুর, সাদা আঙুর, ত্বীন, জয়তুন, আমলকীসহ ২০০ প্রজাতির ফল। এতিমখানার সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনজুরুল হক জানান, শখের বশে নিজের পরিচর্যায় এ ফলের বাগান গড়েছেন। এ বাগানেই কাটান অবসর সময়। অবসরে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো ছাড়াও এসব ফল দিয়ে অতিথি আপ্যায়নও করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই