জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রায় ২৫ বছর আগে একজনের লাগানো ফলবান আম ও মেহগনিসহ ১৮টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে আরেকজন। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, গাছ নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় গাছগুলো কেটে নেওয়া ঠিক হয়নি। এছাড়াও গাছ কাটতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। আর পুলিশ বলছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নামো কালীগঞ্জ গ্রামের ইলিয়াস আলীর সাথে পার্শ্ববর্তী ফাইজুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলারও রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেশিন দিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা। স্থানীয়রা এতে বাধা দিলেও কোন বাধা শোনা হয়নি।
জমির মালিক দাবিদার ইলিয়াস আলীর ছেলে ওমর ফারুক বলেন, গাছগুলো নিয়ে আদালতে মামলা থাকলেও দেশি অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে গাছগুলো কেটে নেয়ায় তাদের ক্ষতি করা হয়েছে। অন্যদিকে গাছগুলো নিজের জমিতে থাকায় কেটে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন জমির আরেক দাবিদার ফাইজুল ইসলাম। তবে গাছ কাটতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, আদালতে মামলা থাকায় গাছগুলো কাটা বেআইনি কাজ হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রাচীন ফলবান আম ও মেহগনিসহ ১৮টি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে একই জমি থেকে ১৪টি আমগাছও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম