পোশাকের সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ কেবল মেয়েদের ফ্যাশনের অংশ, এ ধারণা এখন অনেকটাই সেকেলে। একটু পেছনে যাই- সাদাকালো জমানার কথাই ভাবুন। যে পুরুষ যত ধনী উচ্চবংশীয়, ক্ষমতাবান এবং প্রতিষ্ঠিত ছিল তার অঙ্গে তত বেশি অলংকার শোভা পেত। আসলে তখনকার দিনে অলংকার ব্যাপারটা ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। কালের বিবর্তনে সামাজিক আধিপত্য প্রকাশের জন্য আর গা ভর্তি গয়নার প্রয়োজন হলো না। তবে আজকাল ছেলেদের ফ্যাশনেও অনুষঙ্গের (এক্সেসরিজ) গুরুত্ব অপরিসীম। সাদামাটা পোশাককেও অসাধারণ করে তুলতে পারে সঠিক অনুষঙ্গের ব্যবহার। ছেলেদের স্টাইল এবং ব্যক্তিত্বকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এই অনুষঙ্গগুলো এখন অপরিহার্য। এটি কেবল ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নয়, বরং নিজস্ব রুচি এবং আত্মবিশ্বাসেরও প্রতীক।
কেউ কেউ অবশ্য তখনো কানে দুল, ব্রেসলেট পরতেন। আবার বদলেছে যুগ। বদলেছে ধারণা। নতুন করে ফিরে এসেছে পুরুষের গয়না। তবে অন্যভাবে। আজকাল ক্রিকেটার, ফুটবলার এবং অনেক সেলেব্রিটের কণ্ঠে-কানে দুলে ওঠে অলংকার। শুধু অলংকারই নয়, শরীরী আলপনাতেও আজকাল ছেলেরা এগিয়ে। ট্যাটুর আলপনা নয়, এ আলপনা সুচ ফোঁড়ানো সৌন্দর্যের। গানশট বা নিডলে মুহূর্তের মধ্যে শরীরের কিছু অংশ সেজে উঠছে জুয়েলারির সাজে। আজকালকার ছেলেরা বেশির ভাগ কানেই পিয়ার্সিং করান। কেউ কেউ আবার ভ্রু, ঠোঁট এবং নাকে পিয়ার্সিং করান। হার, নেপডেন্ট, আংটি, রিস্টব্যান্ড নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করছেন ছেলেরা। অনেকের আবার কালো রঙের স্যুটের কাঁধ থেকে বুক পর্যন্ত মেটাল চেইন। চোখে ডার্ক সানগ্লাস, সাদা চুলের ফ্যাশনে সেজে ওঠেন অনেক সেলেব্রিটিও। তবে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
♦ ছেলেদের ফ্যাশনে সবচেয়ে ক্ল্যাসিক এবং অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ঘড়ি। এটি কেবল সময় দেখার যন্ত্র নয়, এটি আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়ও বহন করে।
♦ বেল্ট কেবল প্যান্ট ধরে রাখার জন্য নয়, পোশাকে ভারসাম্য রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আর আজকাল জুতো এবং বেল্টের রঙে সামঞ্জস্য রাখা ছেলেদের ফ্যাশনের একটি অলিখিত নিয়ম।
♦ স্টাইলের পাশাপাশি চোখকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানগ্লাসের জুড়ি নেই। এটি চেহারায় এক রহস্যময় এবং আকর্ষণীয় ভাব নিয়ে আসে।
♦ অতীতে ব্রেসলেট মেয়েদের অনুষঙ্গ হিসেবে বেশি প্রচলিত থাকলেও, এখন ছেলেদের ফ্যাশনেও এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
♦ কাফলিঙ্কস হলো শার্টের কাফের জন্য ব্যবহৃত একটি সূক্ষ্ম অনুষঙ্গ। এটি ফর্মাল শার্টে বিলাসবহুল এবং পরিশীলিত ভাব নিয়ে আসে।
লেখা : রেদোয়ান মাহফুজ