ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিনের সঙ্গে নেতাদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এনসিপির চার নেতার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এসি ল্যান্ড।
জিডিতে উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়কারী সুমন মৃধা ও জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আকিব জাবেদের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ওই চত্বরে বিকেলে জুলাই স্মৃতিচারণা ও শহীদদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে উপজেলা এনসিপি।
স্থানীয় সূত্র ও প্রশাসনের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এনসিপির নেতাকর্মীরা আশুগঞ্জ বাজারে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের পেছনের যায়গাটি পরিষ্কার করতে যান। সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি না নিয়েই তারা টিনের বেড়া খুলে দেন।
খবর পেয়ে এসি ল্যান্ড কাজী তাহমিনা সারমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দিলে এনসিপির নেতাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এনসিপির আশুগঞ্জ উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম ডালিম ওই সময় এসিল্যান্ডকে হুমকি দেন ও দুর্ব্যবহার করেন।
এ প্রসঙ্গে এসিল্যান্ড কাজী তাহমিনা সারমিন বলেন, 'সরকারি জমিতে অনুমতি ছাড়াই তারা অনুষ্ঠান করতে চেয়েছে। আমি বাধা দিলে উল্টো আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। ফলে প্রশাসনিক নির্দেশে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।'
ঘটনার বিষয়ে আমিনুল ইসলাম ডালিম দাবি করেন, 'আমরা শুধু পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। টিনের একটি বেড়া খুলেছিলাম মাত্র। এসি ল্যান্ড আমাদের পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেন। হুমকির অভিযোগটি ভিত্তিহীন।'
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, 'সরকারি অফিসের নিরাপত্তা, নথিপত্রের গোপনীয়তা ও আইনশৃঙ্খলার বিষয় বিবেচনায় ভূমি অফিস এলাকায় কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যায় না। কিন্তু এনসিপি অনুমতি না নিয়েই সমাবেশ করতে গিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা