চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি মাসের শেষে আন্তর্জাতিক জোট ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’ (এসসিও)-এর রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক রয়েছে চিনে। ওই বৈঠকে যোগ দিতে চীন সফরে যাচ্ছেন তিনি।
২০২০ সালে লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষের পরে এই প্রথম বার চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন ভারতকে। ইতোমধ্যে নয়াদিল্লির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য এই শুল্কহার আরও বৃদ্ধি করার হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প। বস্তুত, রাশিয়ার থেকে জ্বালানি কেনা দেশগুলির মধ্যে ভারতের পাশাপাশি রয়েছে চীনও। উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে মোদীর চীন সফর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
চীনের তিয়ানজিন শহরে আগামী ৩১ অগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর এসসিওর রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও। এসসিও বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যোগ দিতে যাবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
২০১৯ সালে শেষবারের মতো চীন সফরে গিয়েছিলেন মোদি। তারপর লাদাখে ভারত এবং চীনের সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। তবে গত বছরে রাশিয়ার কাজানে আন্তর্জাতিক জোট ‘ব্রিক্স’-এর সাইডলাইন বৈঠকে সাক্ষাৎ করেন মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল