রংপুর নগরীর কামারপাড়ায় ঢাকা বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন এখন থেকে শতাধিক বাস ঢাকায় যাওয়া-আসা করে। ফলে নগরীর শাপলা মোড় থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মোড় পর্যন্ত সড়কে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে রয়েছে। ঢাকা বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানান্তরের দাবি গত কয়েক বছর থেকে উঠলেও তা উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ২ জুলাই রংপুর নগরীর আরকে রোড সংলগ্ন বিটিভি উপ-কেন্দ্রের পাশে দুই একর জমির ওপর একতলা রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উদ্বোধন করা হয়। দীর্ঘদিন পর জেলার কেন্দ্রীয় এ বাস টার্মিনালের দুরবস্থা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করে রংপুর সিটি করপোরেশন। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ও সরকারি অর্থায়নে ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে পুরাতন জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। দোতলা বিশিষ্ট আধুনিক এ বাস টার্মিনালের নিচ তলায় রয়েছে, টিকিট কাউন্টার, তিনটি এটিএম বুথ, নারীদের নামাজ ঘর, ডেকেয়ার সেন্টার, খাবারের দোকান, ফার্মেসি, পাবলিক টয়লেট, যাত্রীদের বসার স্থান। ভবনের দ্বিতীয় তলায় হোটেল, শিশুদের খেলার ঘর, দোকানঘর, টার্মিনালের অত্যাধুনিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স রুম, পাবলিক টয়লেট, ভিআইপি লাউঞ্জ ও ভিআইপি রুম।
এ ছাড়া জলাবদ্ধতা ও কাদা থেকে বাঁচতে পুরো বাস টার্মিনালটি আরসিসি ঢালাই করা হয়েছে। মূল ভবনের পাশাপাশি গাড়ি ধোয়ার স্থান, গ্যারেজ, সিকিউরিটি গার্ডের রুম, দুটি গোল চত্বর, পুরো টার্মিনাল এলাকায় আলোর ব্যবস্থাসহ নানা অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। অত্যাধুনিক, যাত্রীবান্ধব এ বাস টার্মিনালটি সর্বশেষ নির্মাণ ব্যয় অতিক্রম করে ৩০ কোটি টাকায় কয়েক বছর আগে কামারপাড়ার ঢাকা বাসস্ট্যান্ডটিও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সব আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ছাড়া নগরীর অন্যান্য স্থানের বাসের যাত্রীরা এ বাস টার্মিনালের সব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এমনটা মনে করা হয়েছিল। কিন্তু কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, কুড়িগ্রাম বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে যানজনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।