আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কাকে এখন প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে জিতেছিল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। এরপর থেকে ন্যাচারাল স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচিত হয়ে ওঠে। অথচ এ মাঠে ২০০৬ সালের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ও আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচ দিয়ে অবশেষে ১৯ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে চান্দু স্টেডিয়াম। সিরিজটিকে কেন্দ্র করে বগুড়ার ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আনন্দ বয়ে গেছে। গতকাল ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিক যুবারা ৫ রানে জিতেছে ডিএল মেথডে। আলোর স্বল্পতায় ম্যাচটি পুরোপুরি হতে পারেনি। আফগান যুবারা ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান করে। ২৬৬ রানের টার্গেটে টাইগার যুবারা ৪৬ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩১ রান তোলার পর আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ৪৬ ওভারে টার্গেট ছিল ২২৭ রান। সিরিজের পরের পরের ম্যাচ বগুড়ায় ৩১ অক্টোবর। শেষ তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা ম্যাচটিতে দর্শক উপচে পড়েছিল স্টেডিয়ামে। ঐতিহাসিক ম্যাচটিতে প্রথম ব্যাটিং করে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯। সফরকারী ব্যাটারদের মধ্যে উজারাইল্লাহ ১৩৭ বলে ১৪০ রান সংগ্রহ করেন ১৬ চার ও এক ছক্কায়। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বড় স্কোর করতে পারেননি। খালিদ ৩৪, ফয়সাল ৩৩ ও ওসমান ১৫ রান করেন। বগুড়ার ব্যাটিং উইকেটেও দারুণ বোলিং করেন স্বাগতিক ডান হাতি পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স করেন ৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। এ ছাড়া অলরাউন্ডার রিজান ৫৪ রানে ২টি এবং সবুজ ও তামিম একটি করে উইকেট নেন। টার্গেট ২৬৬ রান। টাইগার যুবাদের সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ভিত দেন মিডল অর্ডার ব্যাটার কালাম সিদ্দিক এলিন। খেলেন সেঞ্চুরির ইনিংস। এলিন ১১৯ বলে ১০১ রান করেন ১১ চারে। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। এ ছাড়া শেষ দিকে রিজান ৯৬ বলে অপরাজিত ৭৫ এবং রিফাত ২৬ রান করেন। আফগান বোলারদের মধ্যে ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান ৪৭ রানে ২টি, শাহীন ও নুরুস্তানি একটি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ শুরুর আগে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেন দুই দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও মাহবুব খান। ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ২২ অক্টোবর বগুড়ায় আসে আফগান দল। ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখার জন্য গতকাল গ্যালারি উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিসিবি। ফলে টিকিট ছাড়াই দর্শক খেলা দেখেছেন। ২০০৬ সালের পর বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। এখানে বাংলাদেশ খেলেছে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার বিপক্ষে। চান্দু স্টেডিয়ামে ২০০৬ সালে একটি মাত্র টেস্ট হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জিতেছিল। ওয়ানডে হয়েছে ৫টি। চার ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে (২), কেনিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে। হেরেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।