জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আদেশ জারি করে নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। যারা একই দিনে গণভোট চায় তারা জুলাই সনদ অকার্যকর করতে চায়। আমরা শুনতে পাচ্ছি সরকারের কিছু উপদেষ্টা একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন দিয়ে একটি দলকে খুশি করতে চক্রান্ত করছেন।’
গতকাল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ‘লগি-বৈঠার তাণ্ডবে গণহত্যা ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জামায়াতের ১৮ দফার মধ্যে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে এবং সেটা আগামী নভেম্বরেই। কারণ জুলাই জাতীয় যে সনদ তৈরি হচ্ছে, যেখানে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোয় পরিবর্তন আনার বিষয়ে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, জাতিকে তো সেটা জানতে হবে। জানার পরই হ্যাঁ-না ভোট দেবে। সেটা যদি একই দিনে ভোট হয়, ভোটাররা তো জানতে পারল না। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিষ্ঠুরতম নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খুনি হাসিনাসহ মেনন, ইনুর বিচারে সরকারকে নতুন করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্জীবিত করে বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের আর জনগণ জায়গা দেবে না। আমরা শুনতে পাচ্ছি পালিয়ে থেকে শেখ হাসিনা কর্মসূচি দিতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে।’