জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পদায়নের জন্য আজ থেকে ফিটলিস্ট তৈরির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এবার বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২৯ ব্যাচকে। এই ব্যাচের ১০ জন করে পৃথক সময়ে ২০ জনকে আজ ভাইভাতে ডাকা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় এবং সাড়ে ৭টায় দুটি ভাইভাতে ২০ জনকে ডেকেছে।
তবে মেধাতালিকা মোতাবেক ভাইভাতে ডাকা হলেও ভাইভাতে বাদ পড়েছেন তালিকার ১৮ জন। প্রথম ৩৮ জনের মধ্যে ১৮ জন বাদ পড়ার কারণ হিসেবে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ফিটলিস্টের শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণে তারা ডাক পাননি। ফিটলিস্ট নীতিমালায় অন্তত দুই বছর মাঠের অভিজ্ঞতা না থাকলে তিনি ডাক পাচ্ছেন না। আবার কেউ লিয়েনে থাকতে পারেন তাকেও ডাকা হবে না। কারও এসিয়ার সমস্যা থাকলে তাকেও ডাকা হবে না। তবে যারা বাদ পড়েছেন তাদের বেশির ভাগই ফিটলিস্টের শর্ত অর্থাৎ মাঠের অভিজ্ঞতা পূরণ হয়নি বলে জানা গেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। ইতোমধ্যেই কয়েক মাস ধরে ডিসি নিয়োগের বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সর্বশেষ ২৮ ব্যাচের ফিট লিস্ট সম্পন্ন করে রেখেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এখনো ২৮ ব্যাচ থেকে ডিসি পদায়ন শুরু হয়নি। এই ব্যাচ থেকে মাঠে ডিসি পাঠানো হতে পারে সে হিসেবে ২৯ ব্যাচকে ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে প্রস্তুত রাখা হবে। নির্বাচন কমিশন চাইলে বা সরকার চাইলে ২৯ থেকেও ডিসি নিয়োগ দিতে পারে নির্বাচনের আগেই। এই ব্যাচে ১৮৯ জন কর্মকর্তা ২০১২ সালে চাকরিতে যোগ দেন। ২০২৩ সালে তারা সরকারের উপসচিব পদোন্নতি পান।
সূত্র জানায়, মাঠে এই মুহূর্তে ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ডিসির দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব পদোন্নতি পেলেও তাদের জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়নি। ভোটের আগে তাদের প্রত্যাহার করা হলে মাঠে ২৫ এবং ২৭ থাকবে নাকি সঙ্গে ২৮ যুক্ত হবে সেটি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে।
জনপ্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, গত নির্বাচনে সম্পৃক্ত ছিল এমন কাউকে মাঠে রাখতে চায় না সরকার। সে কারণে নতুন সচিব এসে ২৯ ব্যাচের ফিটলিস্ট দ্রুত করতে বলেছেন। ২৪ ব্যাচের পাশাপাশি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এলে ফ্রেশ ব্যাচ হিসেবে ২৮ এবং ২৯ ব্যাচও নেতৃত্ব দেবে মাঠে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে যদি একদম ফ্রেশ ব্যাচের কর্মকর্তা চান সে কারণে জনপ্রশাসন আগাম প্রস্তুতি রাখছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, জেলার ডিসি হিসেবে ভালো কর্মকর্তা হওয়া জরুরি। দক্ষ, সৎ এবং চৌকশ কর্মকর্তা ডিসি হলে তিনি কারও পক্ষ নেবে না এবং রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গল হবে।