টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ট্রেনে চড়েছেন, এদিক-ওদিক ঘুরেছেন। তখন অবশ্য তারকাখ্যাতি না থাকায় আলোচনায় আসেননি। এখন ক্যামেরার চোখ তাকে খোঁজে। এই যেমন ভাইরাল ভিডিওতে তার ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা সামনে আসতেই শুরু হলো সমালোচনা।
টলি নায়িকার ট্রেনযাত্রাকে নিয়ে কেন এত হইচই সমাজমাধ্যমে?
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্ম দিয়ে হাঁটার সময় যখন অভিনেত্রীকে ট্রেনযাত্রার অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে কৌশানি বলেন, প্রায় ২০ বছর পর ট্রেনে চড়লাম। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ট্রেনে চড়েছিলাম, আবার এখন চড়লাম। সত্যিই একেবারে আলাদা অনুভূতি হচ্ছে। ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
কৌশানির এই বক্তব্য শুনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গেছে চরম ট্রোলিং।
মন্তব্যের ঘরে একজন লেখেন, শেষ যখন ট্রেনে চড়েছিলেন তখন আপনার বয়স কত ছিল তাহলে? আরেকজন লিখেছেন, এখন সব নতুন নাটক শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আবার মজার ছলে লিখেছেন, সবাই মিলে মালদহ যাচ্ছে কেন? নেটিজেনদের একাংশ আবার কমেন্ট করে লিখেছেন, গাড়ি থাকতে ট্রেনে কেন?
এসব সমালোচনার জবাবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে কৌশানি বলেন, আসলে পাবলিক ফিগার হলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। নামের সঙ্গে সেলিব্রিটি যোগ থাকলেই ট্রোল করতে মানুষ একেবারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মনে হয়, কয়েকটা খারাপ কথা না বললে ভাত হজম হবে না। আমি এগুলো নিয়ে একদম ভাবিত নই। এগুলো হয় এবং আগামী দিনেও হবে, সেই বিষয়ে এখন আমি নিশ্চিত। এগুলো শুনতে শুনতে গায়ের চামড়া মোটা হয়ে গিয়েছে। এখন আর কিছু মনে হয় না, ধাতস্থ হয়ে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ট্রেন জার্নি তো খুব স্বাভাবিক। ছোটবেলায় আমি মা-বাবার সঙ্গে ট্রেনে চেপে অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। এখন খুব বেশি ট্রেনে চড়া হয় না। মালদা-রায়গঞ্জের জন্য গাড়ির থেকে ট্রেনের জার্নি অনেক আরামদায়ক। অনেকদিন পর কেউ কিছু করলে সেটা তো বলতেই পারে। প্রথমবার প্লেনে চড়লেও তো মানুষের একটা আলাদা অনুভূতি হয়। আসলে আজকের এই কথাটা অন্য কেউ বললে সমস্যা হতো না, আমি বলেছি তাই ট্রোলড হচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি