যাত্রীদের সুবিধার্থে রংপুর নগরীর কয়েকটি এলাকায় মহাসড়কের পাশে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল কমপক্ষে ৩৫ বছর আগে। জেলা পরিষদের অর্থায়নে এটি করা হয়েছির। বর্তমানে যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ছাউনিতে কোনো যাত্রী বসেন না। মেডিকেল মোড় সাতমাথা এলাকাসহ অন্যান্য ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫-৯০ সালে রংপুর শহরের কেল্লাবন্দ, সদর উপজেলা পরিষদের পাশে, সৈয়দপুর মহাসড়কের রাস্তার ধারে বর্তমান বিজিজি অফিসের বিপরীতে, মেডিকেল মোড়, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে, মডার্ন মোড়ের পাশে, মাহিগঞ্জ সাতমাথা মোড়ে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ছাউনির অর্ধেক কনফেকশনারির দোকান, বাকি অর্ধেক যাত্রীদের জন্য দুটি পাকা বেঞ্চে আট থেকে ১০ জন বসার ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে এই যাত্রী ছাউনিগুলো অবৈধ দখলে চলে গেছে। রাতে অনেকেই বসে মাদক সেবন করেন এবং আড্ডা মারেন। ৩০ বছর আগে শহরে যে জনসংখ্যা ছিল তার দ্বিগুণের বেশি মানুষ বসবাস করছেন। প্রতিদিন রংপুর থেকে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট রুটে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস, কোচ, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং অটোতে করে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন যাত্রীরা। ছাউনিগুলোর বেহাল অবস্থায় এসব রুটে যাত্রীদের বাসে ওঠানামার জন্য রোদ এবং বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হয়। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে ওঠানামা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যাত্রী ছাউনিগুলো জেলা পরিষদ তৈরি করলেও জায়গা সড়ক ও জনপথের।