নগরবাসীর অভিযোগ- বর্ষা মৌসুমে প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে জলাবদ্ধতার কবলে থাকতে হয়। এখন শুষ্ক মৌসুমেও যদি এমন ময়লাযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলতে হয়, তাহলে আমরা নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনটা আর থাকল কোথায়। সেবা সংস্থাগুলো কী করে তা আমরা বুঝি না। অথচ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আমাদের থেকে ঠিকই গৃহকর আদায় করে নিচ্ছে
চলছে শুষ্ক মৌসুম। আকাশে কড়া রোদ। সূর্যের উত্তাপও চরম। এমন ভরা শুষ্ক মৌসুমেও সড়কে পানি। তাও আবার কাদা-ময়লাযুক্ত। পানি উঠে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও যানবাহনগুলোকে ময়লা পানি মাড়িয়েই পথ চলতে হচ্ছে। পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।
নগরবাসীর অভিযোগ- বর্ষা মৌসুমে প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে জলাবদ্ধতার কবলে থাকতে হয়। এখন শুষ্ক মৌসুমেও যদি এমন ময়লাযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলতে হয়, তাহলে আমরা নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনটা আর থাকল কোথায়। সেবা সংস্থাগুলো কী করে তা আমরা বুঝি না। অথচ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আমাদের থেকে ঠিকই গৃহকর আদায় করে নিচ্ছে; কিন্তু আমাদের নাগরিক সেবা কোথায়?
জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অধীন নগরের ৩৬টি খাল খনন-সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ চলছে। এমন সময় অনেক খালের ওপর মাটির বাঁধ দেওয়া হয়। ফলে কিছু খালে জোয়ারের পানি আটকে তা সড়কে উঠে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় কয়েক ঘণ্টা স্থায়ীও হয়। বর্তমানে ড্রেন সংস্কার-উন্নয়নকাজ চলছে। ফলে পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ব্যস্ততম সড়কে পথচারী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, খাল খনন ও সংস্কারের সময় মাটিগুলো খালের ভিতর রেখে কাজ করা হয়। পরে ড্রেজার দিয়ে তা অপসারণ করা হয়। এ মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় জোয়ারের পানি খালে আটকে সড়কে উঠে আসে। তবে তা সাময়িক। খাল খনন দ্রুত করার চেষ্টা চলছে। আশা করি, শিগগিরই তা শেষ হয়ে যাবে।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরের অনেক এলাকার খালে মাটির বাঁধ থাকায় সড়কে পানি উঠে আসছে। নগরের রহমগঞ্জ জামাল খান খালে জোয়ারের সময় সড়কে পানি জমে যায়। এ সময় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বেগ পেতে হয়। নগরের বহদ্দারহাট বহদ্দার বাড়ি পুকুর পাড়ের পাশের খালেও চলছে সংস্কার কাজ। ফলে এখানকার খাল ও বড় নালা দিয়েও পানি চলাচল করতে পারছে না। তাই জোয়ারের সময় মূল সড়কেই উঠে আসছে পানি। পানি আটকাতে মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তবুও নালার কালো ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি সড়কে উঠে আসছে। কালো ময়লা পানিতে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ সময় আশপাশের এলাকায় লেগে থাকে অসহনীয় যানজট।