অনেকের ধারণা, স্মার্টফোনের ব্যাটারি সেভার বা লো-পাওয়ার মোড চালু রাখলে ফোনের চার্জ দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা যায়। তবে বিশ্লেষকদের ভাষ্য-সারাক্ষণ এ মোড চালু রাখলে ফোনের কার্যক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, সব সময় ব্যাটারি সেভার যেমন চার্জ বাঁচায়, তেমনই ফোন ব্যবহারে বিরক্তিকর বাধাও তৈরি করে।
প্রয়োজনের তুলনায় ধীরগতি : চার্জ বাঁচানোর চক্করে ‘ব্যাটারি সেভার’ শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করে না, ফোনের প্রসেসিং পাওয়ারও কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাপ খুলতে সময় লাগে, অ্যানিমেশন মসৃণ মনে হয় না, পুরো অভিজ্ঞতাই কিছুটা ধীরগতির হয়ে পড়ে। অনেক সময় টেক্সট দেখা বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার মতো সাধারণ কাজে এ সমস্যা চোখে পড়তে পারে। যারা একসঙ্গে অনেক অ্যাপ ব্যবহার করেন, ভিডিওতে ভরা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল বা ফোনেই ছবি এডিট! এমতাবস্থায় পার্থক্যটা বেশ লক্ষণীয়।
অ্যাপের স্বাভাবিকতায় বাধা : লো-পাওয়ার মোড ফোনের পারফরম্যান্সই শুধু কমায় না, অনেক অ্যাপের স্বাভাবিক কাজেও বাধা তৈরি করে। কারণ অনেক অ্যাপই ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসিংয়ের ওপর নির্ভর করে, যেখানে আপডেট আনাসহ ডেটা সিঙ্ক বা নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলে চুপিসারে। ব্যাটারি সেভার মোড এসব ব্যাকগ্রাউন্ড কাজকে আটকে দেয়। ফলে দেখা যায়, অন্য কোনো অ্যাপে প্রবেশ করলে হঠাৎ অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাপ বা নেভিগেশন অ্যাপ রিয়েল-টাইমে লোকেশন ঠিকমতো আপডেট করতে পারে না। ইমেইল অ্যাপ খোলা না পর্যন্ত ইমেইলও আসে না।
নোটিফিকেশন দেরিতে আসা : লো-পাওয়ার মোডের বড় অসুবিধা হলো-গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন দেরিতে আসে, অনেক ক্ষেত্রে তা-ও আসে না। মেসেজিং, ইমেইল বা ডেলিভারি ট্র্যাকিংয়ের মতো তাৎক্ষণিক আপডেটে নির্ভরশীল অ্যাপের নোটিফিকেশন ঠিক সময়ে না-ও আসতে পারে।
জেনে রাখা ভালো, সব সময় পাওয়ার সেভার চালু রাখার চেয়ে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমানো, ব্যবহার না করলে ওয়াইফাই বা লোকেশন বন্ধ রাখা অথবা ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো অ্যাপ চলবে, তা নিজে নিয়ন্ত্রণ করা।
তথ্যসূত্র : মেকইউজঅব