স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, হেডফোন- আধুনিক জীবনে এ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু টানা ব্যবহারে এগুলোতে জমে ওঠে ময়লা, যা শুধু ডিভাইসের কার্যক্ষমতাই কমায় না, স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁঁকি তৈরি করে। লজিটেকের মতে, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা গ্যাজেটকে নতুন রাখে, কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও আয়ুও দীর্ঘায়িত করে। ইয়ারবাডের মতো ডিভাইস থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিষ্কারের আগে প্রস্তুতি : ডিভাইস পরিষ্কারের আগে সবসময় প্রস্তুতকারকের নির্দেশিকা দেখে নিন। এরপর নরম, লিন্টমুক্ত কাপড় (মাইক্রোফাইবার), কটন সোয়াব, নরম ব্রিসলের ব্রাশ, কম্প্রেসড এয়ার এবং আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল সংগ্রহ করুন। এ অ্যালকোহল দ্রুত শুকায় এবং কোনো অবশিষ্টাংশ রাখে না, যা ইলেকট্রনিকস পরিষ্কারে আদর্শ। যে কোনো ডিভাইস পরিষ্কারের আগে তা অবশ্যই বন্ধ করে নিন এবং কভার ও আনুষঙ্গিক খুলে ফেলুন।
ডিভাইস পরিষ্কারের কৌশল
♦ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ : কিবোর্ড ও মাউস সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করা হয়। কিবোর্ডের ফাঁকে জমে থাকা কণা দূর করতে কম্প্রেসড এয়ার বা হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা বাতাস ব্যবহার করুন। এরপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ল্যাপটপের স্ক্রিন পরিষ্কারের জন্য মাইক্রোফাইবার কাপড় এবং ভিনেগার-পানির মিশ্রণ ব্যবহার করুন। অ্যামোনিয়াযুক্ত ক্লিনার বা কাগজের তোয়ালে স্ক্রিনের ক্ষতি করতে পারে, তাই সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
♦ এয়ারপডস ও ইয়ারফোন : ইয়ারবাডের ক্ষেত্রে কান থেকে বের হওয়া ময়লা জমে। ব্র্যান্ড অনুযায়ী পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সাধারণত কটন সোয়াব ও সাবান জল ব্যবহার করা যায়। অ্যাপল এয়ারপডসের জাল পরিষ্কার করতে টুথব্রাশ, পাতিত জল ও মাইসেলার জল প্রয়োজন হয়। চার্জিং কেসও পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
♦ স্মার্টফোন : অ্যাপল ও স্যামসাং উভয়ই নরম, লিন্টমুক্ত কাপড় দিয়ে ফোন মোছার পরামর্শ দেয়। রাবিং অ্যালকোহলযুক্ত জীবাণুনাশক ব্যবহার করা গেলেও, ব্লিচ বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডিভাইসের আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এ সহজ টিপসগুলো মেনে চললে ডিভাইস যেমন পরিচ্ছন্ন থাকবে তেমনই আপনিও থাকবেন সুরক্ষিত।