স্মার্টফোনের বাজার খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে; এর সাথে যুক্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন। একটি ফোনে এখন স্থায়িত্ব, ব্যাটারি পারফরম্যান্স ও ডিজাইন সবই একসাথে দরকার। আর এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাজারে এসেছে অনার এক্স৯সি। ইতোমধ্যে অপটিমাল ডিউরেবিলিটির জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করেছে ডিভাইসটি। একইসাথে, ব্যাটারি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও ডিএক্সওমার্কের সর্বোচ্চ রেটিং পেয়েছে এটি।
নতুন প্রজন্মের অনার অ্যান্টি-ড্রপ ডিসপ্লে
অনার এক্স৯সি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর নতুন প্রজন্মের অ্যান্টি-ড্রপ ডিসপ্লে, যা আগের প্রজন্মের স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী। এই ডিসপ্লের কারণে ফোনটি ২ মিটার উচ্চতা থেকে পড়ার পরও মনে হবে যেন কিছুই হয়নি। ডিভাইসটিকে সবদিক থেকে সমানভাবে সুরক্ষিত রাখতে তাপ-প্রতিরোধী গ্লাস ও ব্যাকে রেজিস্ট্যান্স শিল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এর অনন্য বেজিয়ের কার্ভ ডিজাইন ডিভাইসের কোণগুলোকে নিখুঁতভাবে সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে, এখন হাত থেকে পড়লেও হ্যান্ডসেট আর কাজ করবে না, এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন ব্যবহারকারী। এটি মার্বেল, অ্যাসফল্ট বা ব্লুস্টোনের মতো কঠিন কোনো সমতলে পড়লেও একইভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি, ফোনটি এসজিএসের ৫-স্টার ড্রপ রেজিজট্যান্স রেটিং পেয়েছে, যা এর যথাযথ টেকসই স্থায়িত্বের প্রমাণ।
অনার এক্স৯সি কেবল ফ্লোরে পড়লেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম তা নয়; বরং একইসাথে, এটি ২৫ সেন্টিমিটার গভীর পানির নিচে ৫ মিনিট পর্যন্ত ডুবে থাকার পরও আগের মতো কাজ করতে সক্ষম। ফোনটির এই পানি-প্রতিরোধী সক্ষমতা বাজারে থাকা বাকি স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় এটিকে বিশেষ করে তোলে।
ইন্ডাস্ট্রি-ফার্স্ট ফিচার
অনার এক্স৯সি তার উদ্ভাবনী ফিচার দিয়ে এই খাতের মানদণ্ডের সীমানা অতিক্রম করে গেছে। এতে রয়েছে কুশনিং এয়ারব্যাগ প্রোটেকটিভ কেইস, যা দ্বিতীয় প্রজন্মের কাঠামো নিয়ে এসেছে। অত্যাধুনিক এই ডিজাইনে মাইক্রো-লেভেল গ্যাপ রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে অতিরিক্ত শক্তি শোষণ করে নিয়ে স্ক্রিন ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে ফোনকে রক্ষা করে। এছাড়া, এর সম্পূর্ণ মোড়ানো কার্ভড স্ক্রিন প্রটেকশন লেয়ার ডিভাইসের স্ক্রিনের প্রতিটি অংশকে স্ক্র্যাচ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে।
৩৬০ ডিগ্রি ওয়াটারপ্রুফ সুরক্ষা
অনার এক্স৯সি ডিভাইসটি পানি প্রতিরোধী সক্ষমতা নিশ্চিত করতে একটি তিন স্তরের ওয়াটারপ্রুফ কাঠামো নিয়ে এসেছে, যা ফোনটিকে ৩৬০ ডিগ্রি অর্থাৎ, সবদিক থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এটি আইপি৬৫এম রেটিং সহ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজস্ট্যান্স সার্টিফায়েড। ফলে, যতো কঠিন পরিবেশেই থাক না কেন, ডিভাইস থাকবে সুরক্ষিত।
টেকসই স্থায়িত্বের সর্বোচ্চ সীমায়
প্রতিকূল পরিবেশে ডিভাইসটির সক্ষমতা পরীক্ষা করতে হাই অল্টিটিউড ড্রপ চ্যালেঞ্জের আয়োজন করে অনার। যেখানে ফোনটি ২০০ ফুট ওপর থেকে ফেলে দেয়া হয়; এমনকি ৫০০ ফুট উচ্চতায় হেলিকপ্টার থেকে ফেলেও পরীক্ষা করে দেখা হয়। টাফনেসের সবগুলো পরীক্ষাতেই অত্যন্ত সফলতার সাথে উতরে যায় অনারের এই ডিভাইসটি। এসব পরীক্ষা থেকে ফোনটির কনস্ট্রাকশন-গ্রেড টাফনেস সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায়। একইসাথে, ফোনটিকে ফুটন্ত পানির মতো তীব্র প্রতিকূল পরিবেশেও পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেখানে দেখা যায়, অনার এক্স৯সি -৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুরু করে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত একইরকম সহনশীল ও কার্যকর।
পারফরম্যান্স ও স্থায়িত্বের সমন্বয়
অনার এক্স৯সি ডিভাইসটির গঠন ও পানি-প্রতিরোধী সক্ষমতার পাশাপাশি, পারফরম্যান্সের প্রতিও সমানভাবে নজর দিয়েছে। স্মুথ ও রেসপন্সিভ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ১ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। এর ১/১.৬৭ ইঞ্চির সেন্সর ও ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সহ এআই-সক্ষম ১০৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা-সেন্সিং ক্যামেরা ব্যবহারকারীর ছবি তোলার অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে। এছাড়া, এতে ৬,৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই খাতে প্রথমবারের মতো স্মার্টফোনে এতো সুবিশাল ব্যাটারি নিয়ে এসেছে অনার। টাইটানিয়াম পার্পল, টাইটানিয়াম ব্ল্যাক ও জেড সায়ান – এই তিনটি অনন্য রঙে নিয়ে আসা ডিভাইসটির ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম মাত্র ৪৪,৯৯৯ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/ এডি