টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা, পরিসংখ্যান ও বিস্ময়ের এক অনন্য মিশ্রণ হলে নিঃসন্দেহে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খানের নাম আসবে সবার আগে। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই তিনি গড়েছেন এক অনন্য রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ‘দ্য হানড্রেড’ টুর্নামেন্টে লন্ডন স্পিরিটের বিপক্ষে ৩ উইকেট শিকার করে তিনি স্পর্শ করেছেন ৬৫১ উইকেটের মাইলফলক। যদিও এটি ১০০ বলের ফরম্যাট, তবে পরিসংখ্যানে ধরা হয় টি-টোয়েন্টি হিসেবেই।
রশিদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো, যিনি ৬৩১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। তবে বর্তমানে ৪১ বছর বয়সী ব্রাভো খেলেন খুবই সীমিত পরিসরে, মাঝারি মানের কিছু লিগে। এখন মূলত কোচিংয়েই বেশি মনোযোগ তার।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরেক ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারাইন, যার সংগ্রহে রয়েছে ৫৮৯ উইকেট। ১৪ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে এখনো তিনি বিশ্বের নানা লিগে খেলছেন নিয়মিত।
চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির (৫৪৭ উইকেট) ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান (৪৯৮ উইকেট)। যদিও তারা দুজনই এখন ফর্মে কিছুটা পিছিয়ে, তবে নিয়মিতই অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে।
রশিদের এই অসাধারণ সাফল্য আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে তার ক্যারিয়ারের সময় বিবেচনায়। যেখানে অন্যরা ১৪-১৫ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে এই উচ্চতায় পৌঁছেছেন, রশিদ মাত্র ১০ বছরেই সবার উপরে উঠে গেছেন। আইপিএলে তার নামের পাশে ১৫৮ উইকেট, বিগ ব্যাশে ৯৮টি। এছাড়া অন্তত ১২টি ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও রশিদের প্রভাব স্পষ্ট। সেখানে তার উইকেট সংখ্যা ১৬১টি। এই তালিকায় তার সামনে আছেন কেবল নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি (১৬৪ উইকেট), যিনি ইতোমধ্যেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। ফলে আসন্ন এশিয়া কাপে রশিদের পক্ষেই সম্ভাবনা রয়েছে শীর্ষস্থান দখলের।
এই তালিকায় বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানও রয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন চতুর্থ স্থানে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এখনও দেশের হয়ে অবদান রেখে চলেছেন বিশ্বের অন্যতম সফল এই অলরাউন্ডার।
বিডি প্রতিদিন/মুসা