ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের দাউদ বিশ্বাস (২৩) নামের যুবকের সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হলে দেখা করতে যায় পাশ্ববর্তী সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের এক অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এরপর দাউদ ও তার সহযোগীরা পরমেশ্বরদী গ্রামের ভদ্র মহাশয়ের মেহগুনি বাগানে নিয়ে ওই ছাত্রীকে তিনজন মিলিয়ে ধর্ষণ করে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভুক্তভোগীর দাদা বাদী হয়ে দাউদকে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার দুই ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দাউদ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। দাউদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর আসামি বোয়ালমারী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে মো. আতর আলী শেখকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
পরিবারের বর্ণনায়, কিশোরী রাতে বাড়ি না ফেরায় ঘরপারিবারের অনুসন্ধানে টিকটক আইডি থেকে দাউদের মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়; তাকে ফোন করলে প্রথমে ফোন কেটে দেয় এবং পরে ফোন করে জানায় আধা ঘন্টার মধ্যে মেয়েকে পৌঁছে দেবেন। এমন কথার প্রেক্ষিতেই তারা তেলজুড়ি এলাকায় গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে সরাসরি বোয়ালমারী থানায় যান।
থানা পুলিশ কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে চিকিৎসা করায়। বর্তমানে ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, মামলার ভিত্তিতে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দাউদ ও আতর আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ