ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানাধীন আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- সমিলা রানী (৪৫) ও তার মেয়ে শাপলা রানী (১৮)।
সোমবার রাত ৯টার দিকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, সমিলা রানী তার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। স্বামী জগদীশ চন্দ্র রায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা সংসার করছিলেন। সোমবার বিকেলে কিস্তি আদায়ের জন্য এক মাঠকর্মী বাড়িতে গিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ করেন। পরে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলে ঘরের ভেতরে লাশ দেখতে পান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রতিবেশী ননী চন্দ্র জানান, কয়েকদিন ধরে মা-মেয়েকে বাইরে দেখা যায়নি। দরজাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
ভূল্লী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। দরজায় হাত দিতেই বিদ্যুতের সংযোগ মিলে যায়। তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিরাপত্তার জন্য তারা দরজার সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম