ম্যানচেস্টার সিটিতে দীর্ঘ এক দশকের ক্যারিয়ারে ক্লাবটির কিংবদন্তিদের একজন হয়ে উঠলেও সেখানে শেষটা আশানুরূপ হয়নি কেভিন ডে ব্রুইনের। পাননি নতুন চুক্তির প্রস্তাব। তাই একরকম বাধ্য হয়েই ছাড়তে হয় প্রিয় ঠিকানা। নাপোলিতে নতুন অভিযান শুরুর প্রাক্কালে ফেলে আসা সময়ের কথা স্মরণ করলেন বেলজিয়ান তারকা। একৈ সঙ্গে শোনালেন নতুন চ্যালেঞ্জ জয়ের আশাবাদ।
২০১৫ সালে ভলফসবুর্ক থেকে সিটিতে পাড়ি দিয়ে অল্প সময়েই দলের মূল খেলোয়াড়দের একজন হয়ে ওঠেন ডে ব্রুইনে। কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার আক্রমণাত্মক কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এই প্লেমেকার। গত এক দশকে ক্লাবটির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ও টানা চারটিসহ মোট ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ জয় এবং আরও অনেক সাফল্যের মূল কারিগরদের একজন ছিলেন তিনি।
গত মৌসুমে চোটের ছোবলে অবশ্য বেশ ভুগতে হয় তাকে, পারফরম্যান্সেও ছিল না আগের সেই ঝাঁঝ। তারপরও কোচের আস্থায় ঠিকই ছিলেন তিনি। কিন্তু ক্লাব কর্তাদের থেকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব পাননি তারকা মিডফিল্ডার। এরপরই সেখানে সম্পর্ক চুকিয়ে গত জুনে ফ্রি টান্সফারে নাপোলিতে যোগ দেন ডে ব্রুইনে। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তার কণ্ঠে বেশ স্পষ্টই ধরা দিল সিটি ছাড়তে বাধ্য হওয়ার কষ্ট। ক্লাবটির প্রতি তার ভালোবাসাও প্রকাশ পেল।
তিনি জানান, “প্রিমিয়ার লিগে আমি অনেক লম্বা সময় ছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত আমিই ইংল্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিয়েছি এবং শেষ পর্যন্ত আমি সারা জীবনের জন্য ম্যান সিটির খেলোয়াড়। তাছাড়া, সেখানে যেভাবে আমার শেষ হলো, সেকারণেই আমি ভেবেছি এখন সময় নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজে নেওয়ার।”
গত মাসে ৩৪ বছর পূর্ণ হয়েছে ডে ব্রুইনের। তবে এখনও নিজেকে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেই দেখেন তিনি। ডে ব্রুইনে বলেন, “(নাপোলিতে যোগ দেওয়ার আগে) যখন ক্লাবটির পুরো পরিকল্পনা আমাকে বোঝানো হলো, তখন আমি অনুভব করতে পারলাম যে, আমি ইতালিতে খেলতে পারি এবং এখনও শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারি, আর এটাই আমাকে রোমাঞ্চিত করল।”
নাপোলিতে তিনি পাচ্ছেন জাতীয় দলের সতীর্থ রোমেলু লুকাকুকে। এটাও তাকে নাপোলিতে আসার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে জানালেন ডে ব্রুইনে। তিন মৌসুমের মধ্যে গতবার দ্বিতীয়বার সেরি আ জয়ী নাপোলির শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু হবে আগামী ১৩ অগাস্ট, সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ