সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বিনব্রিজ এখন হকারদের দখলে। হকারদের কারণে পথচারীদের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া রাত হলে মাদকসেবীদের আড্ডা আর ছিনতাইয়ের ভয় নিয়ে চলতে হয়। টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। শহরের প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক এই সেতুটি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে বিশৃঙ্খলার প্রতীক। অবশেষে জেলা প্রশাসন এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার থেকে ক্বিনব্রিজের দুই প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে, যাতে মোটরসাইকেল ও হকার কেউই আর উঠতে না পারে। শুধু পথচারীরাই ঐতিহ্যবাহী এই সেতু ব্যবহার করতে পারবে। ২০১৯ সালে সেতুটি রক্ষায় যান চলাচল বন্ধ করে প্রবেশমুখে লোহার বেষ্টনী বসানো হয়। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
যায় সেই বেষ্টনী। শুরু হয় রিকশা চলাচল, পরে ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের দখলেও চলে যায় সেতুটি। সংস্কারের পরও একাধিকবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল শুধুই হাঁটার জন্য উন্মুক্ত রাখার, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘কিনব্রিজ কেবল হাঁটার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ উদ্যোগ সফল হলে এটি দেশের দীর্ঘতম পদচারি সেতুতে পরিণত হবে।’
১৯৩৩ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ১৯৩৬ সালে চালু হওয়া লোহার এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। ভারতের আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামেই এর নামকরণ করা হয়। ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি আজও সিলেটের পরিচিতির অংশ এবং পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।