আগামী ২৫ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি হয়ে উঠতে পারে লিটন দাসের ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়। ব্যাট হাতে যেমন, তেমনি উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দু’টি বড় রেকর্ড ছোঁয়ার দারুণ সুযোগ এসেছে এই ডানহাতি ক্রিকেটারের সামনে।
এই টেস্টে একাদশে থাকলেই লিটন পা রাখবেন ৫০ টেস্ট খেলার মাইলফলকে। দেশের ইতিহাসে মাত্র দশম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়বেন তিনি। ২০১৫ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লায় টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লিটনের। অভিষেক ম্যাচেই ৪৫ বলে ৪৪ রানের ঝকঝকে ইনিংসে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর প্রায় এক দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে লিটন খেলেছেন ৪৯টি টেস্ট। রান করেছেন ৩৪.২৯ গড়ে ২৮৮১, যার মধ্যে রয়েছে ৪টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফ-সেঞ্চুরি। দেশের হয়ে টেস্টে ৫০ বা তার বেশি ম্যাচ খেলা বাকি নয়জন হলেন—মুশফিকুর রহিম (৯৭), মুমিনুল হক (৭২), সাকিব আল হাসান (৭১), তামিম ইকবাল (৭০), মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১), তাইজুল ইসলাম (৫৪), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫৩), হাবিবুল বাশার (৫০) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫০)।
তবে শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, উইকেটের পেছনেও লিটনের সামনে আছে বড় এক অর্জনের হাতছানি। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ডে বর্তমানে শীর্ষে আছেন মুশফিকুর রহিম। তবে ঠিক তার পাশেই অবস্থান করছেন লিটন দাস। দুজনেরই ডিসমিসাল সংখ্যা সমান—১১৩টি করে, যার মধ্যে ৯৮টি ক্যাচ এবং ১৫টি স্টাম্পিং।
বিশেষ দিক হলো, মুশফিক যেখানে এই পরিসংখ্যান গড়েছেন ৯৭ টেস্টে, সেখানে লিটনের লাগে মাত্র ৪৯টি ম্যাচ। অর্থাৎ, সংখ্যায় সমান হলেও দক্ষতায় এগিয়ে রয়েছেন লিটন।
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে উইকেটরক্ষকদের ডিসমিসাল তালিকায় তাদের পরেই আছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৪৪ টেস্টে তিনি করেছিলেন ৮৭ ডিসমিসাল (৭৮ ক্যাচ ও ৯ স্টাম্পিং)। আর চতুর্থ স্থানে আছেন বর্তমান দলের আরেক সদস্য নুরুল হাসান সোহান—১১ ম্যাচে যার ডিসমিসালের সংখ্যা ৩৪ (২৫ ক্যাচ ও ৯ স্টাম্পিং)।
সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্ট শুধু আরেকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়, বরং লিটন দাসের জন্য হয়ে উঠতে পারে ক্যারিয়ারের অন্যতম উজ্জ্বল মাইলফলকের মুহূর্ত। ব্যাটে রান আর গ্লাভসে সাফল্য মিললেই, ইতিহাসে নিজের নাম আরো উজ্জ্বলভাবে লিখে রাখতে পারবেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম