ভারতের সঙ্গে তীব্র সামরিক উত্তেজনার মধ্যেও নির্ধারিত সূচিতে অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১০ম আসর। চলমান সংকটজনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, তারা টুর্নামেন্ট চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ২০টিরও বেশি হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর জবাবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের বিমানবাহিনী পাল্টা অভিযানে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, একটি রাফাল জেট ধ্বংস করেছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও আজ (৭ মে) রাওয়ালপিন্ডিতে নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের মধ্যকার ম্যাচ। রাওয়ালপিন্ডিতে ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত চারটি ম্যাচ এবং ১১ মে মুলতানে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ মে থেকে শুরু হবে প্লে-অফ পর্ব, যার কোয়ালিফায়ার ম্যাচ হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। এরপর এলিমিনেটর ও ফাইনাল ম্যাচগুলো ১৪, ১৬ ও ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
পিসিবির এই সিদ্ধান্ত জাতীয় সংকটকালেও দেশের ক্রীড়াচর্চা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার অংশ নিচ্ছেন। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন খেলছেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে এবং পেসার নাহিদ রানা খেলছেন পেশোয়ার জালমির হয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'গত ২৪ ঘণ্টায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির যে পরিবর্তন ঘটেছে তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বোর্ড। পিএসএলে অংশ নেওয়া রিশাদ ও নাহিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।'
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ব্যক্তিগতভাবেও পিএসএল সিইও সালমান নাসের ও রিশাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/মুসা