কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কমবেশি সব ক্রিকেটার গেমিংয়ে বাজি ধরেন বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন দলের সাবেক ক্রিকেটার রমনদীপ সিং। বিশেষ করে শ্রেয়াস আইয়ার ফিফা গেমে ছিলেন মাস্টার, যা দলের বাজির সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছিল বলে জানান তিনি।
তবে রমনদীপ স্পষ্ট করেছেন যে এটি ম্যাচ গড়াপেটার মতো কোনো বাজি ছিল না। বরং দলের গেমিং রুমে খেলোয়াড়রা একে অপরকে হারানোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে বাজি ধরতেন। এতে ফিফা গেম এবং পোকারে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হতো।
রমনদীপ জানান, গেমিং রুমে দুই খেলোয়াড় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলে, জয়ী খেলোয়াড় পরাজিত খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বাজির অর্থ পেতেন। তিনি আরও বলেন, এই বাজির অঙ্ক ২০-২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে ১ লাখ পর্যন্ত পৌঁছে যেত। পোকারের ক্ষেত্রে এটি ১০ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যেত!
পডকাস্টে রমনদীপ বলেন, "হ্যাঁ, আমরা একে অপরের সঙ্গে খেলার সময় বাজি ধরতাম। কেউ অনেক টাকা হারাত, আবার কেউ অনেক টাকা জিতত। শ্রেয়াস ফিফায় অসাধারণ ছিলেন, আর বিবেক পাজিকে হারানো অসম্ভব ছিল। তাই ওর সঙ্গে বাজি ধরা ছিল বোকামি। আমি সাধারণত নীচে নীচে বৈভব কিংবা সূয়াসের সঙ্গে খেলতাম। নীতীশ পাজি-ও ভালো খেলতেন, তাঁর সঙ্গেও খেলতাম।"
রমনদীপ আরও জানান, "আমাদের বাজি শুরু হতো ২০-২৫ হাজার থেকে। কেউ কেউ এক লাখ পর্যন্ত বাজি ধরত। তবে ফিফা গেমের তুলনায় পোকারে বাজির পরিমাণ ছিল আরও বেশি। লাখ লাখ টাকা লেনদেন হতো।"
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেকেআর বা বিসিসিআই থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক