বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজ খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসান। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছে ‘এ’ দল। টুর্নামেন্টে ‘এ’ দলের অধিনায়কত্ব করেছেন সোহান। সাইফ খেলেছেন ওপেনার হিসেবে। দলের প্রয়োজনে অফ স্পিন বলও করেছেন। টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজ খেলে আজ-কালের মধ্যেই দুজনে দেশে ফিরবেন। যোগ দেবেন সিলেটে জাতীয় দলের সঙ্গে। বিসিবির নির্বাচক প্যানেল দুজনেই ঘরের মাটিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ ও টি-২০ এশিয়া কাপের জন্য দুজনকেই দলভুক্ত করে। দুজনকে মূলত নেওয়া হয়েছে ব্যাকআপ ক্রিকেটার হিসেবে। দুজনকে নেওয়ার এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজকে বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সোহান জাতীয় দলের পক্ষে ৪৬ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২২ সালে অ্যাডিলেডে। এরপর আর জায়গা পাননি জাতীয় দলে। অবশেষে তিন বছর পর পুনরায় ডাক পান। সাইফও সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২৩ সালে হ্যাংঝু এশিয়ান গেমসে। ছন্দ হারানোয় দুজনেই বাদ পড়েন। দুজনেই আবার ফিরেছেন। সোহান ‘এ’ দলের পক্ষে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৬ ম্যাচে রান করেন যথাক্রমে ৬, ৩৩, ৩৫, ১৪, ৫ ও ২২। উইকেটরক্ষক হিসেবে ক্যাচ নেন ৬টি ও স্ট্যাম্পিং করেন ১টি। সোহানকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘প্রত্যেকটা নির্বাচনের পেছনে একটা প্রক্রিয়া থাকে, প্রসেস থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকেও ডিপ ডাইভ থিঙ্কিং থাকে। কোনো সময় হয়তো হয় আমরা দলে নেই না ফর গ্রেটার ইন্টারেস্টে। সোহানকে নিয়ে অনেক আলাপ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা সফরের টি-২০ দলে। আনফরচুনেটলি আমাদের লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের জায়গায় পারফর্মার নেই। আমাদের কনফিডেন্সের যে জায়গাটা, তার অ্যাপ্রোচ অব ক্রিকেট, প্যাটার্ন অব ক্রিকেট; স্পেশালি ৫-৬ নম্বরে আমাদের একটা ভালো চয়েজ। যেমন জাকের আলী আঘাত পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজে। সেই হিসেবে ব্যাকআপের জায়গায় আমরা তাকে সেরা মনে করছি।’
সফরে সাইফ খুব ভালো করেছেন, তেমন নয়। একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন। ৫৭ রান করেছিলেন পাকিস্তান ‘এ’ বা শাহীন্সের বিপক্ষে। এরপর রান করেছেন ১১, ১, ৩, ৪৫ ও ১৫। বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ৩টি। তাকে নেওয়া হয়েছে মূলত ৪ নাম্বারে ব্যাটিং করানোর কথা ভেবে। এ ছাড়া তার বোলিংটা বাড়তি সহায়তা করবে বলেন প্রধান নির্বাচক, ‘তার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনেকেই আলোচনায় এনেছে। কোচ-ক্যাপ্টেন-নির্বাচক যারা আছি, অনেক আলোচনা করেছি। আমাদের ওপরের দিকে একটা বোলারের দরকার ছিল, সেই জায়গায় তিনি কাজে আসতে পারবেন। নাম্বার ফোর, থ্রি অথবা যদি নতুন বলে ওপরের দিকে নাম্বার ওয়ান, টুতে কোনো প্লেয়ার লাগে, সেই আলোকে সাইফ হাসানের দিকে আমাদের চোখ ছিল। এবার তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। নাম্বার ফোরে ব্যাট করার মতো ক্যাপাবল ব্যাটার এবং প্রয়োজনে যদি কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় দলের জন্য, তাহলে ওপেন করার সক্ষমতাও তিনি রাখেন।’ নাঈম, মিরাজকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘সবাইকে জানতে হবে, কেন তিনি বাদ পড়েছেন। ১৭ জনের যদি স্কোয়াড হতো, তাহলে অবশ্যই মিরাজ থাকতেন।’