ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে মোদি চুক্তিটিকে ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির দিকে একটি পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেছেন মোদি।
পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের চুক্তিকে স্বাগত জানাই। এটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন। বন্দিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি সবার জন্যই স্বস্তি বয়ে আনবে এবং স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৭ হাজার ১৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৯০ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও হতাহতদের এই সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়তে পারে। কেননা, এখনও বহু সংখ্যক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, এর আগে ইসরায়েলে নজিরবিহীন এক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ সময় কয়েক শ’ মানুষকে তুলে করে নিয়ে যায় তারা। ওই দিন ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়। এরপরই গোটা মধ্যপ্রাচ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। হিজবুল্লাহ এবং হুথি গোষ্ঠীর সঙ্গেও সংঘর্ষ হয় ইসরায়েলের। ইরানের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল ইহুদিবাদীরা। তবে ফের একবার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
দু’বছর ধরে চলা সংঘাতে ইতি টানতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মিলে সম্প্রতি ২০ দফার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিকল্পনার অধীনে হামাসের হাতে বন্দি থাকা সকল মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। ভবিষ্যতে গাজায় কোনও ভূমিকা থাকবে না এই গোষ্ঠীর। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। আর তারা গাজা দখল করবে না। তবে একটি বাফার জোন তৈরি করা হবে গাজার চতুর্দিকে।
জানা গেছে, এই চুক্তি সই করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের হাতে আটক থাকা সকল বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলও ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেবে। হামাস এই চুক্তি মেনে নেওয়ার খবর সামনে আসতেই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এদিকে শোনা যাচ্ছে, এই চুক্তি স্বাক্ষরের আবহে ট্রাম্প ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিডি প্রতিদিন/একেএ