ফ্লোরিডার মায়ামি গার্ডেনে পৌঁছতেই দর্শকের ঢল চোখে পড়ল। আমেরিকার রাস্তায় সাধারণত পুলিশ চোখে পড়ে না। আড়ালে আবডালে লুকিয়ে নজর রাখে তারা। তবে মায়ামি গার্ডেনে প্রকাশ্যেই দেখা গেল তাদের। হয়তো দর্শকদের অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতেই! রিয়াল মাদ্রিদ বনাম জুভেন্টাস ম্যাচ। ফুটবল পাগলদের জন্য এ ম্যাচ বেশ লোভনীয়। এ লোভ সামলাতে না পেরে যেমন দূর মেক্সিকো থেকে ছুটে এসেছেন রেনে ও তার বন্ধুরা। রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখে মুগ্ধ তারা। বিশেষ করে এমবাপ্পের খেলা দেখে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গার্সিয়াকে উঠিয়ে এমবাপ্পেকে মাঠে পাঠান কোচ জাভি আলোনসো। এই গার্সিয়ার গোলেই ১-০ ব্যবধানের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে রিয়াল সমর্থক রেনের দাবি, আরও বেশ কয়েকটা গোল পেতে পারতেন এমবাপ্পেরা।
ফ্লোরিডার মায়ামি সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর এক শহর। সমুদ্রের পেটে ঢুকে আছে এ শহর। এখানে সবুজের সমারোহ আছে। আছে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা বাড়িঘর। সমুদ্রের গভীর থেকে ভেসে আসা নোনা বাতাস। হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামে এ শহরে। ঝড়-সাইক্লোনের ভয় থাকলেও তাই এখানকার বাসিন্দারা মায়ামিকে ভালোবাসে। সন্তানের মতোই লালন করে শহরটাকে। মায়ামির মায়ামি গার্ডেন ছোট এক এলাকা। এখানেই তিন সপ্তাহ ধরে চলছে ফুটবল উৎসব। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরের তুলনায় এখানেই আগ্রহটা বেশি। কারণও আছে। এ শহরে লাতিনদের অনেক দাপট। যে কোনো লেখা এখানে তিনটি ভাষায় পাওয়া যায়। ইংরেজির পাশাপাশি স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ। শহরজুড়ে লাতিনদের চোখে পড়ে রাস্তায়, বাসে, ট্রেনে। তারাই মাতিয়ে রাখছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মায়ামি গার্ডেনের হার্ড রক্স স্টেডিয়ামে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মাঠে নামতে দেখেই উল্লাসে পড়েন দর্শকরা। ক্লাব বিশ্বকাপের ইমেজগুলোতে ফরাসি এ তারকাকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ফুটবল পাগলরা। পেটে অসুখ নিয়ে মাঠে নামতে পারেননি এমবাপ্পে। কোচ আলম শাহ বারবারই বলেছেন, সময় মতো মাঠে নামবেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। অবশেষে তাকে দেখা গেল মায়ামি গার্ডেনে।
রিয়াল মাদ্রিদ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে কাক্সিক্ষত গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা জার্মান ক্লাব বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বুরুসিয়া ডটমুন্ডের মেক্সিকান ক্লাব মনটারিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। দলের পক্ষে দুটি গোলই করেন গিনির ফুটবলার সেরহু ইয়াদালি। ইস্ট রাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ৫ জুলাই মুখোমুখি হবে রিয়াল-ডর্টমুন্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে এ ছাড়া মুখোমুখি হচ্ছে ফ্লুমিনেন্স-আল হিলাল, পালমেইরাস-চেলসি এবং পিএসজি-বায়ার্ন মিউনিখ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটে কেবল ব্রাজিল ও জার্মানির দুটি করে ক্লাব টিকে আছে।