ফ্রুট ব্যাগিং হয়ে থাকে গৌরমতি, আম্রপালি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাংগোতে। এখানকার আম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কীটনাশক এবং রোগমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। নওগাঁর পোরশা উপজেলার বন্ধুপাড়া এলাকায় ফ্রুট ব্যাগিং করা আম বাগান...
নওগাঁ জেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ করে বেশি মুনাফার দেখা পাচ্ছেন চাষিরা। রোগবালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত ফ্রুট ব্যাগিং হয়ে থাকে গৌরমতি, আম্রপালি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাংগোতে। এখানকার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কীটনাশক ও রোগমুক্ত হওয়ায় এ আমের চাহিদা বেশি। নওগাঁর পোরশা উপজেলার বন্ধুপাড়া এলাকায় ফ্রুট ব্যাগিং করা একটি আম বাগানের দেখা পাওয়া যায়। গাছে গাছে ঝুলছে ব্যাগ। আর তার মধ্যেই সুরক্ষিত রয়েছে পুষ্ট আকর্ষণীয় গৌরমতি, আম্রপালি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাংগো জাতের আম। এই আমের চাহিদা রয়েছে দেশসহ বিদেশে। ফ্রুট ব্যাগিংয়ের পাশাপাশি এটি হলো আমের ব্র্যান্ডিং কৌশল। কোনো পণ্যকে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়, নাম এবং গুণগত বৈশিষ্ট্যসহ বাজারজাত করার কৌশল। এর মাধ্যমে পণ্যটি ভোক্তাদের কাছে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা গুণগত মানের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ঠিক তেমনিভাবে নওগাঁর আম ব্র্যান্ড বিশ্বদরবারে তুলে ধরা যেতে পারে। নওগাঁর আম শুধু দেশে নয় গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন সরকারিভাবে বড় আমদানির ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তিনির্ভর প্যাকেজিং, উৎসভিত্তিক পরিচয় ও সনদিকরণের অভাবে এই আম বিদেশে গিয়ে হয়ে যায় বাংলাদেশি আম। নওগাঁ নামটি আড়ালে থেকে যায়। ফলে এর স্থানীয় পরিচয় হারিয়ে যায়। এতে করে ঠিক মূল্যায়ন এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে এর স্বতন্ত্র ভূমিকা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয় না। পোরশার সফল ফ্রুট ব্যাগিং আম চাষি রায়হান আলী জানান, তিনি চলতি বছর ৬০ বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ আমে ফ্রুট ব্যাগিং করেছেন। এসব আম কীটনাশকমুক্ত, পোকামাকড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে। ফলন ভালো হয়। বেশি দিন গাছে আম সংরক্ষণ করা যায় এবং আমের গায়ের রং ভালো ও পরিষ্কার ঝকঝকে থাকে। এসব আম বিদেশে রপ্তানি করার আশায় তিনি ফ্রুট ব্যাগিং করেছেন। আর এতে বেশ লাভবান হবেন বলে জানান। কীটনাশক, পোকামাকড় ও বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আম রক্ষা করতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এ ছাড়াও ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি আম সংরক্ষণ করার একটি সহজ ও উপযুক্ত পন্থা। যা আমের গুণগত মান ও রং সতেজ রাখতে কার্যকর। ওই বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে এই বাগানে শ্রমিকের কাজ করে যা উপার্জন হয় তা দিতে লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাচ্ছেন। সারা বছর ১৫-২০ জন শ্রমিক এই আম বাগানে কাজ করে থাকেন। পোরশা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘ফ্রুট ব্যাগিং আম বেশি দামে দেশে ও বিদেশে বিক্রি করে বেশ লাভবান হন। চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ৫০ লাখ ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে।