* দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হওয়ায় পল্টু তার বাবার কাছে চশমা বানানোর বায়না ধরেছে। বাবা বললেন, ‘চোখে তোর সমস্যাটা কী, সেটা আগে খুলে বল?’
পল্টু বলল, ‘আমি দূরের বস্তু একদমই স্পষ্ট দেখতে পারি না, বাবা।’
এ কথা শুনে বাবা পল্টুর হাতটা ধরে ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে এলেন। এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘দেখ তো, আকাশের একদম শেষ সীমানায় কী দেখা যায়?’
পল্টু জবাব দিল, ‘ওটা তো সূর্য, বাবা।’
বাবা রেগে বললেন, ‘আর কত দূরের জিনিস তুই দেখতে চাস, বল?’
* জনৈক ব্যক্তি : তুমি পকেট মারতে গিয়ে ধরা পড়েছ। তোমার দোষ স্বীকারে আপত্তি আছে?
পকেটমার : আমি নিরপরাধ, ভাই। ধরা পড়ার জন্য আমি দায়ী নই। লোকটার পকেট এত ছোট ছিল যে, হাতটা ঢুকিয়ে আর বের করতে পারিনি।
* এক পাগল রোগী এসেছেন চিকিৎসকের কাছে-
চিকিৎসক : কী সমস্যা আপনার, বলুন?
রোগী : স্যার, আমার সব সময় মনে হয়, আমি একটা মুরগি।
চিকিৎসক : বলেন কী। তা কবে থেকে এমনটা মনে হয় আপনার?
রোগী : যখন আমি একটি ডিম ছিলাম, ঠিক তখন থেকেই, স্যার।
* দুজন দাবা খেলছিল। পাশে দাঁড়িয়ে আরেক ভদ্রলোক পাক্কা দুই ঘণ্টা ধরে তাদের দাবার চাল বলে দিচ্ছিলেন আর তাদের ভুলের সমালোচনা করছিলেন।
শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে একজন খেলোয়াড় বলল, তা হলে আপনিই খেলুন না।
ভদ্রলোক প্রায় আঁতকে উঠে বললেন, না, না আমার এত ধৈর্য কোথায়!
* ক্রেতা : আমাকে এক কেজি আপেল দিন তো। প্রতিটা আপেল আলাদা আলাদা প্যাকেটে দেবেন।
দোকানদার তা-ই করলেন।
ক্রেতা : হু, এবার আমাকে এক কেজি আম দিন। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটা আম ভিন্ন ভিন্ন ঠোঙায় দেবেন।
দোকানদার তা-ই করলেন। ক্রেতা তখন দেখছিলেন দোকানে আর কী কী আছে। দোকানদার চটজলদি দুই হাতে আঙুরগুলো আড়াল করে বললেন, ভাই, আমি আঙুর বিক্রি করি না!
সংগ্রহ- মোফাজ্জেল সজল, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা।