সরবরাহ কম প্রধান কারণ হলেও চাঁদাবাজিও দেশে ইলিশের বাড়তি দামের পেছনে একটা কারণ বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ২২ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত এ মৎস্য সপ্তাহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একযোগে সারা দেশে উদ্যাপিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাতীয় মৎস্য পদক নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্য খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭টি ক্ষেত্রে মোট ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক-২০২৫ প্রদান করা হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হবে। মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ পদক তুলে দেবেন। পরে ইলিশের দাম বেশির কারণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য উপদেষ্টা জানান, ইলিশের আহরণ কম থাকায় সরবরাহ কম, এটা প্রধান কারণ।
তবে ডিজেলের দাম বেশিসহ চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়াও দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই। ঢাকায় ১ কেজির কম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকার বেশি। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে বলে আমরা আশা করছি। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বরিশাল ও চট্টগ্রামে তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম।