কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ বীজ-সার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সদর উপজেলার ২ হাজার ৮২০ জন কৃষকের হাতে এসব কৃষি উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তারসহ কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার জানান, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ফসলে মোট ২ হাজার ৮২০ জন কৃষককে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে—
গমে ৮৫০ জন কৃষককে ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
সরিষায় ১,০০০ জন কৃষক পেয়েছেন ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার।
সূর্যমুখী (ওপি) জাতের জন্য ১০ জন কৃষক ১ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার পেয়েছেন।
সূর্যমুখী (হাইব্রিড) জাতের জন্য ৭৫ জন কৃষককে একই পরিমাণ বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
চিনা বাদামে ৫০ জন কৃষক পেয়েছেন ১০ কেজি করে বাদাম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার।
পেঁয়াজে ৬৫ জন কৃষকের হাতে ১ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার তুলে দেওয়া হয়েছে।
মুগডালে ১১০ জন কৃষক পেয়েছেন ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার।
মসুরে ৩৩০ জন কৃষক পেয়েছেন ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার।
খেসারীতে কৃষকদের ৮ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
মাফরোজা আক্তার আরও জানান, রবি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় এসব কৃষকরা প্রায় ২ হাজার ৮২০ বিঘা জমিতে ফসলের আবাদ করবেন। এর মধ্যে গমে ৮৫০ বিঘা, সরিষায় ১,০০০ বিঘা, সূর্যমুখী (ওপি) ১০ বিঘা, সূর্যমুখী (হাইব্রিড) ৭৫ বিঘা, চিনা বাদামে ৫০ বিঘা, পেঁয়াজে ৬৫ বিঘা, মুগডালে ১১০ বিঘা, মসুরে ৩৩০ বিঘা এবং খেসারীতে ৩৩০ বিঘা জমিতে আবাদ হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রণোদনার এই বীজ ও সার বিতরণের ফলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় রবি মৌসুমের ফসলের আবাদ ও উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ