ডিআইজির (উপমহাপরিদর্শক) পদ খালি ৩৩টি। তবু রহস্যজনকভাবে থমকে আছে পদোন্নতির প্রক্রিয়া। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) একাধিক সভা হলেও এজেন্ডাতেই থাকছে না পুলিশের ডিআইজি পদে পদোন্নতির বিষয়। এর মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা চারজন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে অবসরে চলে গেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএসবিতে প্রশাসনসহ অন্য ক্যাডারের বিষয় আলোচনা হলেও পুলিশের বিষয়টি উঠছে না। হাসিনার আমলে দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চিত থাকার পরও বঞ্চনা এবং ভোগান্তির খরা কাটছে না পুলিশ কর্মকর্তাদের।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আশরাফুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার চাকরিকালীন সময়েও পুলিশকে অনেক বিষয়ে ইগনোর করা হতো। এখনো যদি এটা বহাল থাকে তা সত্যি পীড়াদায়ক। কিছুদিন পরই নির্বাচন। সরকারের উচিত শূন্য পদের বিপরীতে পদোন্নতির দ্রুত ব্যবস্থা করা। তাদের তো আগে দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে। না হলে ওই কর্মকর্তারা কীভাবে তাদের অধস্তনদের গাইড করবে?
জানা গেছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নানা কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মতাদর্শবিরোধী পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে ওই সময়ে নানা অজুহাতে কর্মকর্তাদের বছরের পর বছর ধরে ওএসডি এবং লঘুদ দিয়ে রাখা হয়। মানসম্মানের ভয়ে অনেক বঞ্চিত কর্মকর্তা বিদেশে শিক্ষা ছুটিতে ছিলেন। অনেকে মিশনে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। অনেকে এভাবেই অবসরে গেছেন। অনেকে অপমান সইতে না পেরে অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৫ ব্যাচের মেধা তালিকায় দ্বিতীয় মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকীকে এসপি হিসেবে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অথচ ওই ব্যাচেরই মনিরুল ইসলামকে ২০১৬ সালে ডিআইজি পদে পদোন্নাতি দিয়ে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৪ মার্চ থেকে তাকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।