আসন্ন বাজেট প্রস্তাবে পোলট্রি খাতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারি ও পোলট্রি খাতের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপখাতে এই বরাদ্দ দেওয়া হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো এবং খামারিদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন দেশের নিবন্ধিত প্রান্তিক খামারি ও ডিলারদের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংগঠন হিসেবে খাতের টেকসই উন্নয়ন ও খামারিদের অধিকার সুরক্ষায় বাস্তবমুখী বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, মোট ১০টি খাতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে পোলট্রি খাতের পুনরুত্থান, বাজারের স্থিতিশীলতা এবং প্রান্তিক খামারিদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে।
যে যে খাতে বরাদ্দ চায় বিপিএ
▪ ফিডে ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি:
ডিম ও মুরগি উৎপাদনে ফিড সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপাদান। একটি খামারের মোট উৎপাদন ব্যয়ের ৭০–৭৫ শতাংশ ফিড খাতে ব্যয় হয়। ফিডের ক্রমবর্ধমান দাম বহন করতে না পেরে অনেক খামারি খামার বন্ধ করছেন। এ অবস্থায় প্রতি কেজি ফিডে নির্দিষ্ট হারে নগদ ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
▪ ওষুধ ও ভ্যাকসিনে ২০০ কোটি টাকা সহায়তা:
রোগবালাই পোলট্রি খাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ প্রান্তিক খামারি মানসম্মত ঔষধ ও ভ্যাকসিনের অভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ওষুধ ও ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন হাব ও মোবাইল টিম চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
▪ ৩০০ কোটি টাকার সুদমুক্ত ঋণ:
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ৫–২০ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ও জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিপিএ। এই ঋণে ১–২ বছরের গ্রেস পিরিয়ড এবং সহজ কিস্তির ব্যবস্থা থাকবে। ঋণ পেতে খামার নিবন্ধন ও ব্যয় পরিকল্পনা দাখিল বাধ্যতামূলক থাকবে।
▪ সমবায়ভিত্তিক ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপনে ৩০০ কোটি টাকা:
বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে উপজেলাভিত্তিক খামারি সমবায় গঠন করে আধুনিক ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপনের পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে বিপিএ।
▪ কোল্ড স্টোরেজ ও প্রক্রিয়াজাত ইউনিটে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি:
ডিম ও মুরগি পচনশীল পণ্য হওয়ায় বাজারজাতকরণে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। উপজেলাভিত্তিক আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ ও প্রক্রিয়াজাত ইউনিট স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে, যাতে ফ্রোজেন পণ্যের বাজার তৈরি হয় এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক