কয়েক সপ্তাহ পরেই বাজারে উঠবে শীতের সবজি। মৌসুম সামনে রেখে মাদারীপুরের চরাঞ্চলে চলছে শীতকালীন সবজি চাষের ব্যস্ততা। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর বিস্তীর্ণ চরে এখন সবুজের সমারোহ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, চরের জমিতে কৃষকরা বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং, লালশাক, ধনেপাতাসহ নানা জাতের শীতের সবজি চাষ করছেন। অনেকে এক জমিতে একাধিক ফসল ফলাচ্ছেন (লালশাকের সঙ্গে বেগুন)। লালশাক বিক্রি হয়ে যাওয়ার সময়ে বেগুনের ফলন আসতে শুরু করায় এক জমিতেই পাচ্ছেন দ্বিগুণ লাভ।
চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন কেউ সার দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন সেচ। কেউ পরিষ্কার করছেন আগাছা। শীতের সবজির আবাদ ঘিরে চাষিদের মাঝে দেখা যাচ্ছে নতুন উদ্যম। স্থানীয় বাজারে এসব সবজির চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন। ফলে প্রতি বছর আবাদ বাড়ছে শীতের সবজির। রাজৈর উপজেলার কৃষক আবদুল হালিম বলেন, শীতের সবজি চাষ করেই আমাদের জীবিকা চলে। বাজারে বিক্রি ভালো হয়, দামও পাই ঠিকঠাক। অসময়ে বৃষ্টি হলে অনেক সময় ক্ষতি হয়। শিবচরের কৃষক ইয়াকুব শেখ জানান, কৃষি বিভাগ থেকে তারা নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা পাচ্ছেন। উন্নত বীজ, কীটনাশক ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কারণে ফলন বাড়ছে। ডাসারের সৈয়দ রাকিব জানান, আশা করছি চলতি মৌসুমে আশানুরূপ ফলন হবে। সার-বীজের দাম একটু কম হলে ভালো হতো।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রহিমা খাতুন বলেন, এ অঞ্চলে শুধু শাকসবজি নয়, বিভিন্ন মসলাজাতীয় ফসলও ভালো হয়। কৃষকদের এসব ফসল উৎপাদনে আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী চরাঞ্চলে প্রতি বছরই শীতের ফসলের আবাদ বাড়ছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জেলার বাইরেও পাঠানো হয় এসব সবজি।