এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম মার্টিনিস। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই তিন গবেষকের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং ও শক্তি পরিমাপ আবিষ্কারের জন্য এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তারা। পদার্থবিজ্ঞানের একটি বড় প্রশ্ন হলো, কত বড় কোনো বস্তু বা ব্যবস্থা কোয়ান্টাম জগতে প্রভাব ফেলতে পারে। এ বছর নোবেলজয়ীরা এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, যা হাতে ধরা যায়। সেই সার্কিটে তারা কোয়ান্টাম টানেলিং এবং শক্তির নির্দিষ্ট স্তর দুটি বিষয়ই দেখিয়েছেন।
জন ক্লার্ক ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন এবং বর্তমানে অধ্যাপনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিশেল দেভরেট ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিএইচডি করেন ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিস-সুড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। জন এম মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন এবং সেখানেই অধ্যাপক হিসেবে রয়েছেন। এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে জন বারডিন দুবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
