রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত শনিবার আসামিকে মামলা দায়েরের পর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই মো. আজিজুল হাকিম। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হতে পারে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাকে মূলত গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) আটক করে। পরে রমনা থানার পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার আগে এ ঘটনায় রমনা থানায় হওয়া সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করতে দেখা যায় এনায়েত করিম চৌধুরীকে। এ সময় তার গাড়ি থামানো হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ফোন বিশ্লেষণ করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
কে এই এনায়েত : এনায়েত করিম নিজেকে মাসুদ করিম নামে পরিচয় দেন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি নিজেকে মার্কিন একটি সংস্থার দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখান। ২০১৮ সালের ভোটের আগেও তিনি একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেশের বাইরে বৈঠক করেছেন বলে একাধিক সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে। ১৯৮৮ সালে আমেরিকা যাওয়ার পর ২০০৪ সালে সেই দেশের পাসপোর্ট পান। এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার আমলেও (২০০১-২০০৬ সাল) একবার রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এনায়েত করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।