আনন্দ সাহা ও অমরিতা সরকারের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের দিনক্ষণও নির্ধারিত ছিল চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন আনন্দ। ঢাকায় চিকিৎসার পর ভর্তি করানো হয় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান মানিকগঞ্জের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে। আনন্দের শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর যে এখনো বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। প্রিয়জনের এ কঠিন সময়ে পাশে থাকতে এবং সেবা করতে অমরিতা সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালেই বিয়ে করবেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে হাসপাতালেই বিয়ে হয় তাঁদের। পেশায় ব্যবসায়ী আনন্দ সাহা মানিকগঞ্জ শহরের বাসিন্দা। অমরিতা সরকার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী গ্রামের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক বছর আগে আনন্দ ও অমরিতার পরিচয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর দুই পরিবার তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর তাঁদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এরই মধ্যে ৭ আগস্ট ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার পথে ট্রাকের ধাকায় গুরুতর আহত হন আনন্দ। তাঁর দুই হাত, ডান পা ভেঙে যায়। ঢাকার শ্যামলীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রমায় রাখা হয়। দুই সপ্তাহ চিকিৎসার পর তাঁকে মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে রীতিনীতি অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আনন্দ সাহার চাচাতো ভাই অমি সাহা জানান, হাসপাতালের হলরুমে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।