চলতি বছরের জুলাই মাসে ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩ শিশু ও ৭২ নারী প্রাণ হারিয়েছে। মোট নিহত হয়েছে ৪১৮ জন। আহতের সংখ্যা ৮৫৬ জন। গতকাল রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। চালকদের অদক্ষতা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানায় সংস্থাটি। দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ, দক্ষ চালক তৈরি এবং চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করার জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে। তারা জানিয়েছেন, জুলাইয়ে নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে চারটি। নিহত হয়েছে ছয়জন। রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১টি। নিহত ১৮, আহত হয়েছে সাতজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ১০৯ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এবং ১০৮ জন প্রাণ হারিয়েছে থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনায়। নিহতদের মধ্যে ৪১ জন বাস ও ৩০ জন ছিল ট্রাক এবং পিকআপ আরোহী। পথচারী নিহত হয়েছে ৯২ জন। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ৪৭ জন। দুর্ঘটনার প্রায় ৪৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে। ৩৪ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে।
ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। শতাংশের হিসেবে যা ২৬ দশমিক ৪১। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২৬টি। প্রাণ হারায় ১৯ জন। আহত হয় ৩৮ জন।