বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত আমন ধানের নতুন জাত, তার চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল নিয়ে কুমিল্লায় কৃষক-কৃষানিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলার ১২ উপজেলার শতাধিক কৃষক-কৃষানি অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা জানান, আমন মৌসুমে বিনাধান-৭, বিনাধান-১১, বিনাধান-১৭, বিনাধান-২০, বিনাধান-২২ ও বিনাধান-২৬ কুমিল্লা অঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসব জাত চাষে সময় কম লাগে এবং এর ফলে একই জমিতে আলু, গম ও সরিষাসহ অন্যান্য ফসল সহজে উৎপাদন করা সম্ভব।
বিশেষ করে বিনাধান-১১ টানা ২০–২৫ দিন জলমগ্ন থাকতে পারে, বিনাধান-১৭ ইউরিয়া ও পানি সাশ্রয়ী জাত, যার চাল লম্বা ও চিকন। বিনাধান-২০ চাল আয়রন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ, রঙ লালচে ও চিকন, যা বন্যা-পরবর্তী সময়ে চাষ করা যায়। বিনাধান-২২ লম্বা ও চিকন চালের জন্য পরিচিত, আর বিনাধান-২৬ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম ভুঁইয়া, এবং বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার এসএসও ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুজ্জামান রনি।
সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক