বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। গতকাল তালতলীতে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে নৌবাহিনী ও তালতলী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলার শহর এলাকায় বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহিদুল হকের নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা বাজারের ফরাজী মেডিকেলের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন। ঠিক তখনই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল ফরাজী মেডিকেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জানা যায়, এরআগে জনৈক আম ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন তালতলী বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন। তারই প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হকের সমর্থক নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল, এতে উত্তেজনা বাড়ে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।