বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন এয়ার কানাডার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা। শনিবার (১৬ আগস্ট) থেকে ধর্মঘটে যাওয়ায় এরই মধ্যে ৬২৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। এতে এক লাখেরও বেশি যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ার কানাডার প্রায় ১০ হাজার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের প্রতিনিধিত্ব করা কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লয়িজ (সিইউপিই) বুধবার ৭২ ঘণ্টার নোটিশ দেওয়ার পর আজ থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
এয়ার কানাডা প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে। তবে ধর্মঘটের আগে থেকেই তারা ধাপে ধাপে ফ্লাইট কমাতে শুরু করে। শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সংস্থাটি ৬২৩টি ফ্লাইট বাতিল করে, যা এক লাখেরও বেশি যাত্রীর ভ্রমণ পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলেছে।
মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি, বোর্ডিংসহ স্থলভাগে করা কাজের জন্যও পারিশ্রমিক দাবি করছে ইউনিয়ন। বর্তমানে বিমানের ভেতরে যাত্রী ওঠার সময় বা প্রস্তুতিমূলক নানা কাজে কেবিন ক্রুরা বেতন পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্সের প্রধান রাফায়েল গোমেজ এএফপিকে বলেছেন, সারা বিশ্বেই সাধারণত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের শুধু আকাশপথে কাটানো সময়ের জন্যই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রস্তাবে এয়ার কানাডা জানিয়েছে, তাদের শর্ত অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে একজন সিনিয়র ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের গড় বার্ষিক বেতন দাঁড়াবে ৮৭ হাজার কানাডিয়ান ডলার (৬৫ হাজার মার্কিন ডলার)।
তবে সিইউপিই প্রস্তাবটিকে ‘মূল্যস্ফীতির নিচে এবং বাজারদরের কম’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সরকার ও এয়ার কানাডার সালিশি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার অনুরোধও মানেনি। গোমেজের মতে, ধর্মঘট হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
তিনি বলেন, ‘এখন ভ্রমণের শীর্ষ মৌসুম। সংস্থাটি শত শত কোটি ডলারের আয় হারাতে চাইবে না, এটি মূলত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে এক ধরনের চাপের খেলা।’ সূত্র: খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজিম