বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আনুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন সম্ভব নয়। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মারক প্রকাশনা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। আয়োজক ছিল বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস নেটওয়ার্ক (ব্রেইন)। পরে জিয়াউর রহমানের ওপর সংকলিত স্মারকগ্রন্থ এবং জিয়াকে নিয়ে তৈরি ইন্টারনেট আর্কাইভ ও স্মারকগ্রন্থ উদ্বোধন করেন সালাহউদ্দিন। ব্রেইনের সাঈদ আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, স্বনির্ভরবিষয়ক সহসম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, লেখক মুসা আল হাফিজ ও ভয়েস ফর রিফর্ম প্ল্যাটফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বিলম্ব অথবা নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবে, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়। বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মত মেনে নিতে হবে এমনটা ভাবলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সংস্কার কোনো বাইবেল নয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া। চলমান রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘নিয়ত’ কী, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়ত কী? সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব মেনে নিতে হবে? এই যদি নিয়ত হয়, তাহলে কী ঐকমত্য হবে?
সালাহউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশে আমরা এখন সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সংস্কার এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে আমি মাননীয় সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে বলছিলাম, একটা কবিতাই লিখে ফেলেন, ‘হে সংস্কার তোমাকে পাওয়ার জন্য, আর কতকাল আলাপ আলোচনা করিবে, খানাপিনা খাইবে সংস্কার করার জন্য’। আমরা আলোচনা করছি; কাছাকাছি আসছি; জাতির জন্য যেটা মঙ্গল হবে, সেটা আমরা ধারণ করব, এভাবেই আমরা এ সংস্কারের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব এবং এই সংস্কার তো আজকেই শেষ হবে না; সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।”