দেশের তিন জেলা সীমান্তে ৪২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সীমান্তে ১৯, মেহেরপুরের গাংনী সীমান্তে ৮ ও খাগড়াছড়ির দুই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়। গতকাল ভোরে এসব পুশইনের ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারাছড়া সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। গতকাল সকালে তাদের উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, নয়জন মহিলা ও চারটি শিশু। তারা শরীয়তপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে ৯৯৯-এ কল পেয়ে তাদের পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। তাদের পরিচয় যাচাই করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ি : জেলার মাটিরাঙা উপজেলার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে নয়জন ও পানছড়ি উপজেলার কচুছড়ি সীমান্ত দিয়ে ছয়জনকে পুশইন করা হয়েছে। মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম জানান, মাটিরাঙা সীমান্ত দিয়ে পুশইন হওয়া নয়জনের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। তারা বেলছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। পরিচয় যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মেহেরপুর : জেলার গাংনী সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ আটজনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। রংমহল সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইনের পর বিজিবি আটক করে। তারা ময়মনসিংহ, খুলনার দৌলতপুর, নড়াইল, জামালপুরের বাসিন্দা।
বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটকদের ঠেলে পাঠানো হয়। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘বিজিবি আটজনকে আমাদের হেফাজতে দিয়েছে। যাচাইবাছাই শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’