ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের প্রাঙ্গণে কাঠবাদাম গাছের নিচ থেকে ছয়টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ভোরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ জানান, ‘বঙ্গবন্ধু হলের পকেট গেটে ককটেল বিস্ফোরণের খবর আমরা একটু পরে জানতে পারি। সেখানে এ সময় একটি ঝটিকা মিছিল করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। ফলে তারা এটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে।’ এদিকে কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের প্রাঙ্গণে কাঠবাদাম গাছের নিচে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী অবিস্ফোরিত ককটেলগুলো দেখতে পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমকে অবহিত করেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশকেও জানানো হয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে অবিস্ফোরিত ককটেলগুলো নিরাপদভাবে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সহকারী প্রক্টর ড. এনামুল হক সজীব বলেন, ‘আমাকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটনাটি জানানো হয়। আমরা গিয়ে দেখি দুটি ওয়ানটাইম বক্সে মোট ছয়টি ককটেল রাখা হয়েছে। একটিতে চারটি ও অন্যটিতে দুটি। পরে আমরা শাহবাগ থানাকে বিষয়টি জানাই। বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে নিশ্চিত করেছে এগুলো ককটেল। ওনাদের ইনভেস্টিগেট করে একটা আপডেট দিতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল গেটটি জরুরি প্রয়োজনে সব সময় খোলা থাকে। কিন্তু এখানে কোনো সিসিটিভি নেই, ফলে ঠিক কে বা কারা রাতে ককটেলগুলো রেখে গেছে, তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আজ (সোমবার) থেকেই এ গেটে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’ এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যারা এ ক্যাম্পাসে পূর্বের কায়দায় ককটেল, বোমা এবং লাশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে- তাদের কালো হাতকে শিক্ষার্থীরা সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে একটি গোষ্ঠী ওতপ্রোতভাবে লেগে আছে। ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই সুচারুরূপে ফাংশন করা সম্ভব নয়।